আবুল বশর পারভেজ, মহেশখালী:
দরিদ্র মানুষের চাল বিতরণে অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বিষয় ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, চৌকিদার ও সংশ্লিষ্টরা। মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার আব্দু সাত্তার পরিষদের চেয়ারম্যানের যোগসাজশে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা ভিজিডি কার্ড এর নামে বরাদ্দ করার চাল এ চৌকিদারের বাড়ির খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সম্পূর্ণ নিরেপেক্ষ ভাবে সংবাদ পরিবেশন কওে স্থানীয়রা। তবে রহস্যজনক ভাবে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টরা নিজেরা নিজ থেকে এটি তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র দাবি করে পত্র পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে সাধু সাজার চেষ্টা করছে। -এমন দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সূত্র জানায়, গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী চাল উদ্ধার অভিযান চলার সময় চেয়ারম্যানকে অনেক সাংবাদিক তার বক্তব্যের জন্য সরাসরি যোগাযোগ চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়। নিজেকে এক আত্মীয় বাসায় বেড়াতে গিয়ে ৪-৫ঘন্টা সময় লাগার অজুহাত দিয়ে নিজেকে আড়ালে রাখেন চেয়ারম্যান। ঘটনাস্থলে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে থাকা অন্যান্য অফিসার ও গনমাধ্য কর্মীদের সামনে একটু সময়ের জন্য চৌকিদার আব্দু সাত্তার উপস্থিত হলেও উদ্ধার অভিযান চলাকালে আব্দু সাত্তার ও তার মেয়েরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে চেয়ারম্যান ও চৌকিদারের বরাদ দিয়ে ও গুনগান গেয়ে পত্রিকায় সংবাদ ছাপিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিভিন্ন লোকজনের বাড়ির খাটের নিচ থেকে দিনদুপুরে চাল উদ্ধার করার ঘটনাকে মানহানিকর ভাবে নাটক বলে সংবাদ ছাপিয়ে চাপিয়ে নিজেদের নির্দোষ বানানোর চেষ্টা করা হয় বলে অনেকের দাবি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন “চোরে শুনে না ধর্মের কাহিনী”, তাই এ চক্রটি এ করোনাকালে গরিব মানুষের জন্য দেয়া সরকারের ত্রাণ চাল আত্মসাতের ন্যাক্কারজনক চেষ্টা করেও নিজেদের পক্ষে সাফাই গাইছেন। এতে করে নিজেরা যে আত্মসাতকারী তা ওয়াকিবহাল মহল মাত্রই তা বুঝতে পেরেছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন যে বিপুল চাল উদ্ধার করেছে এটি যদি প্রশাসনকে কেউ ভুল তথ্য দিয়ে করে থাকে তাহলে প্রশাসন একটি লিখিত বিবৃতি দিতে পারে, এ ঘটনা ভুলবুঝাবুঝি বলে। এমন সাফাই গাওয়া সংবাদ প্রকাশ করাটা প্রশাসন ও জনগণকে বিভ্রান্ত করার শামিল বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত প্রশাসনিক অনুসন্ধান চালিয়ে এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে যারাই জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.