আবদুল আজিজ:
বছর পেরিয়ে আবারো ফিরে এলো খুশির ঈদ। মুসলিম জাহানের দুটি ধর্মীয় সর্ববৃহৎ উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরের সময়েই আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে প্রকৃত রোজাদার ও মুসলিম বিশ্ব। সেই ছোটবেলা থেকেই ঈদ আনন্দ উপভোগ করে আসছি। ঈদের দিনে সাধ্য মতো কেনাকাটা করে নতুন পোষাক নিয়ে ঈদগাহ মাঠে যাওয়া, নামাজ আদায় শেষে কোলাকুলি করা, বন্ধু-বান্ধব পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, বিশেষ উপাদানে তৈরি মায়ের রান্না করা সেরা খাবার খাওয়া যেন এক অন্যরকম অনুভূতি।
কিন্তু, সেই অনুভূতি ও আনন্দমাখা দিনগুলো আজ বিষাদে পরিণত হয়েছে।
মরণব্যাধি করোনাভাইরাস আজ গোটা পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। প্রতিদিন গিলে খাচ্ছে পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ। সেই করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে পারেনি আমার স্বপ্নের বাংলাদেশও।
ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্বসহ নানা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়েই বিষাদময় হয়ে উঠেছে আমাদের জীবন।
তাই, এবারের ঈদে আনন্দ উপভোগের চেয়ে বেঁচে থাকাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঈদের দিনে হিংসা, বিদ্বেষ ভুলে যাই। একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরি। পরস্পর ক্ষমা চেয়ে নিই। অথচ আজ সেই সুযোগটিও নেই। ভয়ংকর করোনা একের পর এক চষে বেড়াচ্ছে। বাড়ছে আক্রান্তদের সংখ্যা। এতে করে এক ক্রান্তিকাল পার করছি আমরা। চরম এই দুঃসময়ে সামাজিক দূরত্বসহ নির্দেশনাগুলো না মেনে উপায় নেই। আর তা মেনে চলতে গেলেই ঈদ হবে উৎসবহীন। ভেস্তে যাবে সব আমেজ। জীবনের একটি ঈদ ভেস্তে যাক। এতেও আমাদের আনন্দিত হওয়া উচিত। কারণ, আমরা এখনো বেঁচে আছি। ভবিষ্যতে বেঁচে থাকলে অনেক ঈদ আসবে।
একবার ভেবে দেখুন তো! করোনায় ইতিমধ্যে যাদের প্রাণ নিভে গেছে, তারা কি আপনার মত করে ঈদ উদযাপন করতে পারছে? পারছে না।
তাই, আমরা যারা এখনো বেঁচে আছি; ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি, অন্তত আমরা তাদের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করতে পারি।
আসুন, আমরা বাস্তবতাকে মেনে চলি। করোনামুক্ত ঈদ উদযাপন করি। নিজে নিরাপদে থাকি। পরিবার, স্বজন ও সমাজকে নিরাপদে রাখি।
সবাইকে জানাই বিষাদে ভরা ঈদ মোবারক।
-লেখক: সাংবাদিক
azizcox2011@gmail.com.
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.