ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
দেবী দুর্গা যে আসবেন—তা জানান দেয় মহালয়া। বুধবার (৬ অক্টোবর) ভোরে দেবীর আবাহনেই শুরু দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা। আর মহালয়ার ছয়দিন পরেই শুরু হবে দেবীর আরাধনা। চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহন করবেন অনুসারীরা। আর এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা ও দেবীর প্রশস্তি। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই মহালয়া। পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী এবার আসবেন ঘোড়ায় চড়ে, বিদায় নিবেন দোলায় চড়ে। মহালয়ার পাঁচদিন পর ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১১ অক্টোবর বোধনের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী পালিত হবে। আর ১৫ অক্টোবর হবে দেবী বিসর্জন।
বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ জানায়, আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী, ১২ অক্টোবর সপ্তমী, ১৩ অক্টোবর অষ্টমী, ১৪ অক্টোবর নবমী এবং ১৫ অক্টোবর দশমীর দিন দেবী বিদায় নেবেন।
পিতৃপক্ষের শেষ দিনটিকে মহালয়া বলা হয়। সেই হিসেবে আজ মহালয়া। এ দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। প্রচলিত আছে, মৃতব্যক্তির মৃত্যু তিথি জানা না-থাকলে এদিন তর্পণ করা যেতে পারে। এদিন সকলেই তর্পণ করতে পারেন। কৃষ্ণপক্ষের সমাপ্তি এবং শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষের সূচনার আগের অমাবস্যাকে মহালয়া বলা হয়। তবে কেন পিতৃপক্ষের শেষে অমাবস্যার দিনটিকে মহালয়া বলা হয়, সে বিষয় নানা মত প্রচলিত রয়েছে।
পুরান মতে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনও মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।
এ উপলক্ষে আজ (৬ অক্টোবর) ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। করোনার কারণে এবারের আয়োজনে কিছু ভিন্নতা আছে। দেবীর আগমনী উপলক্ষে দিনটি উদযাপন করতে গুলশান বনানী সর্বজনীন পূজা পরিষদের আয়োজনে ভোরে বনানী মাঠে দেবী বরণের আয়োজন শুরু হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, গত বছর সারাদেশে দুর্গাপূজার মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ২১৩টি। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ১১৮টিতে। যা গত বছরের চেয়ে এক হাজার ৯০৫টি বেশি। আর ঢাকা মহানগরে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ২৩৮টি। যা গত বছর থেকে চারটি বেশি।
বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসার পর প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। এবছর বিজয়া দশমী ১৫ অক্টোবর (শুক্রবার) জানিয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বলেছে, করোনার কারণে গতবারের মতো এবারও শোভাযাত্রা পরিহার করে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মণ্ডপ বা মন্দির কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে সুবিধাজনক সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা নেবেন। তবে এদিন শুক্রবার হওয়ায় বেলা ১২টা থেকে তিনটা পর্যন্ত জুমার নামাজের সময় প্রতিমা বিসর্জনের বিষয়টি পরিহার করতে হবে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.