প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ৮, ২০২৫, ১২:৪৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৯, ২০২১, ১১:৪৪ পি.এম
উৎসবমুখর পরিবেশে প্রবারণা পূর্ণিমা শুরু

এম.এ আজিজ রাসেল:
উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) কক্সবাজার শহরের বিহারগুলোতে বুদ্ধপূজা, শিবলী পূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, কর্মদেশনা, ধ্যান অনুশীলন, প্রার্থনা, হাজারো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উড়ানো হয়েছে। বুধবার প্রবারণা পূর্ণিমার দ্বিতীয় দিন। এ দিন আকাশে উড়ানো হবে শত শত ফানুস। ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও রামু বাঁকখালী নদীতে কল্প জাহাজ ভাসার মধ্য দিয়ে এই উৎসবের সমাপনী হবে।
কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মাহাসাংদোগ্রী বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে দেখা যায়, বিকাল থেকে রাখাইন সম্প্রদায়ের নারী—পুরুষ নতুন পোশাক ও উন্নতমানের খাবার নিয়ে বিহারে আসেন। সেখানে সুখ—শান্তি ও মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি কামনায় প্রার্থনা করেন সবাই। এবার শহরের অ¹মেধা বৌদ্ধ বিহার, পিটাকেট, মোহাজের পাড়া বৌদ্ধ বিহার, জাদিরাং বিহার ও রাখাইন সামাজিক এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলো নজরকাড়া প্রায় ৫০টি নান্দনিক প্যান্ডেল তৈরি করেছে। প্যান্ডেলগুলোর মূল আকর্ষণ বুদ্ধ। জমকালোভাবে সাজানো হয়েছে এসব প্যান্ডেল। বিহারগুলোও সেজেছে নব রূপে। বর্ণিল আলোকসজ্জায় আলোকিত করা হয়েছে সর্বত্র। প্রবারণা ঘিরে বৌদ্ধ পল্লীর ঘরে ঘরে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
এবার মাহাসিংদোগ্রী মন্দিরে প্যান্ডেল করেছে কক্সবাজার সিটি কলেজ বৌদ্ধ ছাত্র মৈত্রি, কক্সবাজার সরকারি কলেজ বৌদ্ধ ছাত্র মৈত্রি, রাখাইন একতা সংঘ, বড় বাজার রাখাইন যুব সংঘ, বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্ট কাউন্সিল, ফ্রি স্টাইল রিলেশনশীপ, রাজধানী ফ্রেন্ডস সার্কেল, রাখাইন যুব ইউনিটি, হ্যাংগিং গার্ডেন, কে, আর ভিক্টোরিয়া, রাখাইন তরুণ সংঘ ও বৌদ্ধ মৈত্রি পরিষদসহ আরও বিভিন্ন সংগঠন।
শহরের মোহাজের পাড়া, বাজার ঘাটা, বৈদ্যঘোনা ও জাদিরাম বৌদ্ধ বিহার, মহেশখালী, উখিয়া, চকরিয়া, রামু, পেকুয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়িতেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত হচ্ছে।
কক্সবাজার রাখাইন একতা সংঘের সভাপতি উসেন থোয়েন (উসেনমি বাবু) বলেন, প্রবারণার মূল প্রতিপাদ্য আত্মশুদ্ধি, শুভ, সত্য ও সুন্দরকে বরণ করে অসত্য ও অসুন্দরকে বর্জন করা। আমি কামনা করি মানুষের অন্তর থেকে সব মলিনতা দূর করে অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী, প্রেম ও দয়া জাগ্রত হোক।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ—সভাপতি সাবেক সাংসদ অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন বলেন, সিদ্ধার্থ যখন বুদ্ধিসত্ত রূপে শ্রাবন্তী নগর থেকে গৃহত্যাগ করেন। তখন অনুমাদ্ধর্শী নদী তীরে অবস্থান কালে অধিষ্ঠান করে নিজ চুলকে কর্তন করে উপরে দিকে নিক্ষেপ করেন। সে চুল গুচ্ছ মহাতাবতিংস স¦র্গের প্যাগোডা হিসেবে স্থির আছে। তাই চুলামনি নামে প্যাগোডা উদ্দেশ্যেই পূঁজা এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করতে ফানুস উড়ানো হয় বলে জানা গেছে। তথাগত ভগবান বুদ্ধের আড়াই হাজার বছর পূর্বে সময়ের তাবতিংসা স্বর্গের তিন মাস বর্ষাবাস করে কাত্তির্কী পূর্ণিমাকে ঘিরে মানবকুলের মহাপৃথিবীতে অবতরণ করেন।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.