বিনোদন ডেস্ক:
মা হচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। তার সন্তানের বাবা মডেল ও অভিনেতা শরিফুল রাজ। এ খবর এখন পুরোনো হয়ে গেছে।তবে খবরটি প্রকাশের সাথে সাথেই অনেকে জানতে চান পরীমণি-রাজ বিয়ে করলেন কবে। দিনক্ষণসহ পরীমণি ও রাজসহ নানা সূত্রে সে তথ্যও জানা হয়ে গেছে।
নতুন খবর হচ্ছে এবার পাওয়া যাচ্ছে পরীমণি ও শরিফুল রাজের বিয়ের ভিডিও। মঙ্গলবার নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ফেইসবুক আইডি থেকে পরী-রাজের বিয়ের একটি ফুটেজ আপ করা হয়।
এতে দেখা যায়- নামী দামি কোনো প্যালেস, হোটেল বা কমিউনিটি সেন্টার নয়। রেস্টুরেন্ট বা ডেসটিনেশন ম্যারেজের মতো কিছু নয়। গ্রাম বা উপশহরের একদম সাধারণ টিনের বাড়িতে সাদামাটা পরিবেশেই বর-বধূকে দেখা গেল। ছিল পালকির ব্যবস্থাও।
ভিডিওতে পরীমণি ও রাজের সাজ-পোশাকও তেমন জাঁকজমক পূর্ণ নয়। অনেকটা গত শতকের ষাট-সত্তর দশকের বাঙালি মুসলমান পরিবারের বিয়েতে যেমন হয়, তেমন। কিন্তু এই সাধারণ সাজ-পোশাকে বর ও কনের সাবলীল উচ্ছ্বসিত ও উজ্জ্বল উপস্থিতি বলে দেয়- এই বিয়ের পাত্র-পাত্রী অভিনেতা শরিফুল রাজ ও চিত্রনায়িকা পরীমণি।
সোমবার দুপুরে রাজ ফেসবুকে পরীর মা হওয়ার খবর জানান। মা হওয়ার খবর আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পরীমণি ও শরিফুল রাজের বিয়ের খবরও গোপন ছিল।
প্রসঙ্গত, পরীমণির মা হতে যাওয়ার খবরটি পাওয়ার পর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গিয়াস উদ্দিন সেলিমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি তা নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু, দেশ রূপান্তরকে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘পরীমণি মা হতে যাচ্ছে এটা সত্য। কবে কখন তারা বিয়ে করেছে সেটা আমরা জানি না। আমাদেরকে জানানো হয় নাই।’
পরে অবশ্য জানা যায়, নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের গুনীন সিনেমার সেটেই পরিচয়, প্রেম, বিয়ে থেকে সন্তানের বাবা মা হতে যাচ্ছেন পরী ও রাজ। আর ভিডিওটিও বাস্তবের নয়। ওই সিনেমারই একটি দৃশ্য।
দেশ রূপান্তরকে এর আগে শরিফুল রাজ বলেন, ‘গুনীন সিনেমা করতে গিয়ে পরীমণির সঙ্গে প্রেম এরপর বিয়ে। আমরা গত ১৭ই অক্টোবর বিয়ে করেছি। আমরা সন্তানের বাবা মা হতে যাচ্ছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
পরীমণি বলেন, ‘গত বছরের ১৭ অক্টোবর আমরা বিয়ে করেছি। এর আগে রাজের সঙ্গে তেমন কোনো পরিচয় ছিল না। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের গুনীন সিনেমায় রাজের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েই পরিচয়। শুটিং সূত্রেই আমাদের কাছে আসা। এরপর শুটিংয়ে দুজন খুব মজা করতাম। মজা করতে করতেই এক সময় আমাদের ভেতর প্রেম হয়ে যায়। প্রেম হওয়ার পর আমরা বেশি দিন অপেক্ষা করিনি। মাত্র সাত দিনের মাথাতেই বিয়ে করে ফেলি।’
তিনি আরও জানান, আমরা দুই পরিবারকেই আমাদের বিষয়টা বলি। এরপর পারিবারিকভাবেই আমাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। রাজের আফতাব নগরের বাসায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে আমরা বিয়ে করি।’
https://web.facebook.com/100031736869855/videos/2814506045508965/
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.