ভয়েস প্রতিবেদক, টেকনাফ:
পর্যটকদের ভিড়, জেলেদের অবাধ শিকার আর দূষণ কচ্ছপদের ঠেলে দিয়েছিল দূরে। কিন্তু বর্তমানে পর্যটক কম থাকায় সেন্টমার্টিনের সৈকতে হঠাৎই দেখা মিলেছে কচ্ছপের। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আড়াইটায় সেন্টমার্টিনের কোনা সৈকতে এসে একটি কচ্ছপ ১০৮টি ডিম দিয়ে সাগরে ফিরে যায়। এ দৃশ্য স্থানীয় একজন ভিডিওতে ধারণ করেন।
স্থানীয় সংবাদকর্মী মো. জয়নাল জানান, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের চাপসহ বিভিন্ন কারণে কচ্ছপ দেখার সুযোগ হয়নি অনেকদিন। কিন্তু হঠাৎ দ্বীপের কোনাপাড়া সৈকতের পাড়ে এসে দিনদুপুরে একে একে ১০৮টি ডিম দেয় একটি কচ্ছপ। পরিবেশকর্মীরা এসে ডিমগুলো তাদের হ্যাচরিতে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন পরিবেশ অধিদফতরের অফিস সহকারী আবদুল আজিজ জানান, কমপক্ষে চার বছর পর প্রবাল দ্বীপে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এটি খুবই ভালো দিন। মূলত দ্বীপে পর্যটকদের চাপসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে কচ্ছপগুলো আসার সুযোগ পায়নি। ডিমগুলো পরিবেশ অধিদফতরের মেরিন পার্কে নিয়ে রাখা হয়েছে।
মৎস্য ও পরিবেশ অধিদফতরের তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ কক্সবাজারের প্রায় ১২৫ কিলোমিটার সৈকতে ডিম পাড়তে এসে মারা গেছে কমপক্ষে চার হাজার মা কচ্ছপ। ডিম খেয়ে ফেলেছে বেওয়ারিশ কুকুর। দ্বীপে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার।
জানতে চাইলে ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ মামুন বলেন, ‘পর্যটকদের অবাধ যাতায়াত, সৈকতে লাইটিং, রাতে উচ্চমাত্রায় শব্দ ও কুকুরের উৎপাতে সেন্টমার্টিন সৈকত উপকূলে মা কচ্ছপ ডিম দিতে আসছে না। এখন কিছুটা পর্যটক কমেছে বলে একটি কচ্ছপ সৈকতে ডিম দিয়ে আবার সাগরে ফিরে গেছে। তা ছাড়া এখন ডিম ছাড়ার মৌসুম চলছে। ফলে দ্বীপে পর্যটকসহ নিষিদ্ধসহ সব নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন দরকার।’
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.