লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সারাদিন কাজের ফাঁকে প্রায়ই ক্লান্তি চলে আসে, পেয়ে বসে তন্দ্রা। এই তন্দ্রা ও ক্লান্তি কাটানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন।কেউ ঘন ঘন চা খান, কেউ কাজের ফাঁকে ছোট ছোট বিরতি নেন। কিন্তু দিনের শুরুতেই সেই তন্দ্রা ও ক্লান্তি আমাদের ওপর ভর করার আগেই তা কাটিয়ে নেওয়া যাবে-শুধু একটি ডিম খেয়ে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক তাদের গবেষণা থেকে এ তথ্য পান। গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমের সাদা অংশে এমন এক ধরনের প্রোটিন আছে, যা আমাদের সারাদিন সতেজ রাখে এবং ক্লান্তি ও তন্দ্রাকে দূরে রাখে।
গবেষক দলটি জানান, আমাদের সতেজ রাখার জন্য মস্তিষ্কে এক ধরনের সেল সব সময় সক্রিয় রাখে। এই সেলের নাম ‘ওরেক্সিন সেল’।
তারা তাদের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেন, একটানা কাজ এবং দুশ্চিন্তার কারণে এই সেল স্থির হয়ে যায়। যার ফলে কাজের ফাঁকে কিংবা খাবারের পর ঘুম চলে আসে এবং ক্লান্তি দেহকে পেয়ে বসে।
এই ক্লান্তি দূর করার সহজ একটি উপায় বের করতে গবেষণা চালিয়ে গেছেন একদল গবেষক। অবশেষে তারা সফল হন এবং তাদের প্রতিবেদনটি সায়েন্টিফিক জার্নাল ‘নিউরন’-এ প্রকাশ করা হয়েছিল।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওরিক্সিন সেল শুধু ক্লান্তি এবং তন্দ্রাই নিয়ন্ত্রণ করে না, স্থূলতাও এর সঙ্গে জড়িত। এই সেলের সক্রিয়তা কমায় তন্দ্রা, ক্লান্তি এবং স্থূলতা। আর নিষ্ক্রিয়তায় বেড়ে যায় শরীরের ওজন।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষকরা অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন খাদ্য নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন। তারা দেখতে চাচ্ছিলেন ক্লান্তি কমানো যায় কোন ধরনের খাদ্যে। পরে তারা বিভিন্ন খাদ্য নিয়ে গবেষণার পর দেখলেন ডিমের সাদা অংশে এক ধরনের অ্যামিনো এসিড আছে, যা আমাদের সতেজ এবং ক্লান্তিহীন রাখে।
এছাড়াও, আমরা সারাদিন যেসব খাদ্য খেয়ে থাকি সেসব খাদ্যের গ্লুকোজ ওই ওরিক্সন সেলে এক ধরনের ব্লকের তৈরি করে। কিন্তু অ্যামিনো এসিড গ্রহণ করলে গ্লুকোজ আর ব্লক তৈরি করতে পারে না। তাই তন্দ্রা ও ক্লান্তি কাটাতে কাজ থেকে ঘন ঘন বিরতি না নিয়ে, একেবারে দিনের শুরুতেই নাশতায় ডিম খেয়ে নেয়া যায়। এতে ক্লান্তি ও তন্দ্রা আসবে না, আর স্থূলতার চিন্তাও কমে যাবে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.