ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি যেকোনও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অশনি’। এই নিয়ে আতঙ্কে আছেন কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের পাহাড় ও বন কেটে বানানো আশ্রয়স্থলের লাখ লাখ রোহিঙ্গা। এটি মোকাবিলায় কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যেকোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুমসহ প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রতিটি ক্যাম্পে কন্ট্রোল রুম স্থাপনের নির্দেশনা সহ ৯টি কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে শনিবার (৭ মে) বিকালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ দিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়। কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মিকন তঞ্চগ্যা স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন তাদেরকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি কন্ট্রোল রুম স্থাপনের নির্দেশনা দিয়ে প্রত্যেক ক্যাম্পে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্তদের মোবাইল নম্বর সবাইকে জানিয়ে দিতে হবে।
নিরাপত্তার লক্ষ্যে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে মোবাইল টিম প্রস্তুত করা, শেল্টারের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে শেল্টার সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে আলোচনাক্রমে ঘূর্ণিঝড় সহনীয় শেল্টার কিট বিতরণে ব্যবস্থা, দুর্যোগকালে জরুরি খাবার বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা, ক্যাম্পে অবস্থিত শ্লোপ প্রোটেকশন, রিটেইনিং ওয়াল, গার্ড ওয়াল মেরামত প্রয়োজন হলে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া, বৃষ্টি ও বন্যার পানি নিরাপদে নির্গমনের জন্য ক্যাম্প অভ্যন্তরে অবস্থিত ড্রেনসমূহ পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা এবং ক্যাম্পে কর্মরত সিপিপি, ডিআরআর স্বেচ্ছাসেবকদের দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি ও দুর্যোগ পরবর্তী প্রস্তুতি বিষয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
সিনিয়র সহকারী সচিব মিকন তঞ্চগ্যা বলেন, ‘প্রত্যেক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নির্দেশনা দিয়ে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। আমরা আগে থেকে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।’
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার বিষয়ে চিঠি পেয়েছেন জানিয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, ‘ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা আশ্রয়কেন্দ্রসহ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।’
টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে রবিবার ক্যাম্পে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনলে বিশেষ করে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিদের মাঝে ভয়ভীতি কাজ করে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরু বলেন, ‘এখনও ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব পড়েনি। তবু স্থানীয়দের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’
এদিকে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ অবস্থায় আগামী ৭২ ঘণ্টায় উপকূল এলাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.