উম্মুল ওয়ারা সুইটি:
পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য প্রস্তুত। একটা বড় স্বপ্নপূরণ হচ্ছে। এখন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় এই সেতু। আপাত নাম পদ্মা সেতু নামে আছে।
এই সেতুর নামকরণ নিয়ে আলোচনা আজ থেকে না , যখন নানা ষড়যন্ত্রে পড়ে সেতুর কাজ শুরুই হওয়ার কথা না তখনো এর নাম নিয়ে কথা হয়েছে।
অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এই সেতুর আলোর মুখ দেখার কথা না। বিশ্ব ব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিলে বাংলাদেশের মতো দেশের পক্ষে কি এইরকম সেতু নির্মাণ সম্ভব? এমটাই ছিল গত ১৫ বছর আগের অবস্থা।
সেতুর কাজ শুরুর আগেই ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠে। দেশের বিরোধী একটি পক্ষ তো খুব খুশি যেনো, পদ্মা সেতু না হলে বাংলাদেশের লাভ। সমালোচনা, আলোচনা চলছেই।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল পদ্মার উপর দীর্ঘ সেতু হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ নিয়ে বাবার স্বপ্নগুলোর বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেন। সোনার বাংলার স্বপ্ন এগিয়ে যাচ্ছে তারই কন্যার হাত ধরে।
যতই এগিয়ে যাওয়া হোক, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরাও থেমে নেই। তারা কিছুতেই চায় না দেশ এগিয়ে যাক।
পদ্মা সেতুর বেলায় একজন মানুষ মানে একজন ভীষণ সাহসী মানুষ, হেরে যেতে দেয়নি। বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে তিনি ঘোষনা দিয়েছেন, কোথাও টাকা না পেলে আমরা নিজেদের টাকায় সেতু করবো। তবু সেতু করবোই।
হায় হায় , আবারও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। আর সাথে বাহাস। বিরোধীরা বললো, এইটা একটা অসম্ভব বিষয়। জনগনকে ধোকা দেওয়ার জন্য বলছে। এটা ভোটের রাজনীতি।
ব্যাক্তিগত পর্যায়ে আমারও অনেকের সাথে তর্ক হয়েছে। এমন অনেক বড় মানুষের নাম ধরে বলতে পারবো, যারা বলেছেন, এতো টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু অসম্ভব।
আজ ভালো লাগছে শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের ঘোষনা দিয়ে কতটা সাহসী করেছে এই জাতিকে। তরুন প্রজন্মের জন্য এটা একটা আদর্শ হবে।
কেউ কেউ বলতে পারেন, আমি কোন পক্ষপাত করছি। বা দলকানা হয়ছি কি না।
আমি বলি পদ্মা সেতু নিয়ে পেছনে যান কোন প্রেক্ষাপটে এই সেতুটি হয়েছে। দেখুন। সেতু বিভাগ এই সেতুর নাম শেখ হাসিনা সেতু করার প্রস্তাব দিয়েছে। আমি এই প্রস্তাব সমর্থন করি।
কারন, ১. শেখ হাসিনা ছাড়া এই চ্যালেঞ্জ নেওয়া কারো পক্ষে সম্ভব হতো না। ২. তিনি রাজনৈতিক ঝুঁকি ও নিয়েছেন। । আমার ধারণা এই ঝুঁকি কেউ নিতেনই না। ৩. এই মহাযঞ্জ অন্য কেউই সম্পন্ন করতে পারতেন না এতো অল্প সময়ে।এখন নিন্দুকরা কি বলবে।
আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীরা চান এই সেতুর নাম শেখ হাসিনার নামে হোক। শেখ হাসিনা রাজী হচ্ছেন না। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ও নেতারা এই অনুরোধ করেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা অসম্মতি জানিয়েছেন।
আমি বলবো এই দাবিটা জোরালো হোক। এই সেতু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক টার্নিং পয়েন্ট। আর এর নেতা শেখ হাসিনা। ইতিহাসের এই সত্য অনুপ্রেরণার জন্য বহন করুক।
পেছনে ফিরে দেখি
২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর পদ্মা নদীর উপর এই সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সম্পদ থেকে অর্থ নেয়ার মাধ্যমে এই সেতু নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে চীন সরকারের ঋণের টাকায় পদ্মা সেতুর রেল পথের ১৬৯ কিলোমিটার নির্মাণ হচ্ছে।
লেখক: সাংবাদিক
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.