প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ৫:৪২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১২, ২০২০, ৮:১৯ পি.এম
টৈটংয়ে অঘোষিত মসজিদ কমিটির অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মো: ফারক, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউপির ৬নং ওয়ার্ডে অবস্থিত কাদির পাড়া জামে মসজিদের অঘোষিত মসজিদ কমিটির অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেছে স্থানীয় মুসল্লী ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা।
শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে কাদির পাড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয়রা সংবাদ সম্মেলন করে দ্রুত প্রতিকার দাবী করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা মৃত আলীর ছেলে উপদেষ্টা মাস্টার সাব্বির আহমদ, মৃত মাষ্টার ইউসুপের ছেলে সরওয়ার কামাল, মাস্টার সাব্বির আহমদের ছেলে মৌওলানা ওবাইদুল হক ও রাশেদুল ইসলাম, পেঁচু মিয়ার ছেলে আমির হোসাইন ও আমির হোসাইনের ছেলে আরমানুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, মৃত মাওলানা আছদ আলীর ছেলে মাওলানা আতিক উল্লাহ, মৃত মাওলানা নুরুল ইসলামের ছেলে মুহাম্মদ শুয়াইব ও ওমর ফারুক, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে বেলাল উদ্দিন, মৃত মাষ্টার আব্দুল মাবুদের ছেলে ছৈয়দুর রহমান, মাহামুদুর রহমান, রিদুয়ানুল হক, মৃত আকবর আহামদের ছেলে নুরুল ইসলাম, নুরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান বাবু, মৃত নজির আহমদের ছেলে আবুল হাসেম, মৃত আলী মিয়ার ছেলে ছৈয়দুল হকসহ আরো বেশ কয়েকজন ব্যক্তি আমাদের তিলে তিলে গড়ে তুলা মসজিদটি নিয়ে চক্রান্ত করে আসছে। মসজিদটি প্রতিষ্ঠার আজ অবধি তাদের কাছে জিম্মি। মসজিদের নামে যতেষ্ট জমি থাকলেও ওই স্বার্থবাদীরা ২৭ বছর পর্যন্ত কোন ধরণের হিসাব দেয়নি। মসজিদের উন্নয়ন না করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন মহলটি। কাদির পাড়ার লোকজনকে অবগত না করে মুষ্টিমেয় কয়েকজন মিলে বারবার অঘোষিত কমিটি গঠন করে থাকে তারা। এলাকাবাসী যারাই এর প্রতিবাদ করে তাদের বাড়িতে হামলা করা হয়, দেয়া হয় মামলা। যার কারণে অতিতে তাদের অনিয়ম আর দূর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। এখন স্থানীয়রা প্রতিবাদ মুখর হয়ে ওঠেছে। তারা মসজিদের সমস্ত হিসাব চাই। লাখ লাখ টাকা তারা আত্মসাত করেছে মসজিদের টাকা। ওই টাকা ফেরত দিয়ে তাদের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। আর মসজিদ কমিটি সকলের মতামত নিয়ে করতে হবে। আমরা এমন একটি কমিটি চাই যেই কমিটির মাধ্যমে কাদির পাড়া মসজিদ উন্নয়ন বেগবান হবে। এছাড়াও ২৮বছর ধরে মসজিদের সভা হয়েছে। সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকার মানুষ মসজিদ উন্নয়নে আর্থিক সহযোগিতা করেছে। কিন্তু সেই টাকার কোন হিসাব নাই। আমরা সেই টাকার হিসাব চাই। আর কাদির পাড়ার সকল মানুষের মতামতের ভিত্তিতে মসজিদ কমিটি গঠন করতে হবে।
রাশেদুল ইসলাম ও আরমানুল ইসলাম বলেন, মসজিদ কমিটির ন্যায়গত অধিকার চাইতে গিয়ে তারা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মালামাল লুঠ করেছে। ইতোমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি যুবদল নেতা মিজানুর রহমান বাবুসহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে নতুন আরেকটা কমিটি তারা করেছে। তাদের অনিয়ম আর দূর্নীতিকে আড়াল করতে ওখানে অনেকজনকে রাখার কথা বলা হয়েছে, অথচ তারা কিছুই জানেন না। এবং মিসকাতসহ আরো কয়েকজন মিলে প্রতিদিন কয়েকহাজার টাকার জুয়া খেলে দিনরাত মসজিদের পাশের দোকানটিতে। তাদের দেখে নষ্ট হচ্ছে এলাকার যুব সমাজ।
মাওলানা ওবাইদুল হক বলেন, মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার নুরুল ইসলামের কাছ থেকে সাবেক মেম্বার ছিদ্দিক আহমদ যখন হিসাব চাই তখন ৮বছরের হিসাব দেন। সেই ৮ বছরে ১লাখ ৫১ হাজার টাকা জমা আছে বলে জানান। কিন্তু বাকি বছরগুলোর কোন হিসাব তারা দিতে পারে নাই। ওই সময় ছিদ্দিক মেম্বার আমাদের বলেন, মসজিদ কমিটির টাকা নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম আর দূর্নীতি হয়েছে। নির্বাচিত কমিটি না হলে মসজিদের উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয়। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচিত কমিটি গঠন করার দাবী জানাচ্ছি।
ওই সময় স্থানীয় মসজিদের মুসল্লী আলমগীর, জাকের হোসেন, নেজাম উদ্দিন, ফজলুল হক, মোঃ জসিম, জয়নাল, এরশাদ কামাল ও সামসুল আলমসহ আরো বেশ কয়েকজন বলেন, মসজিদ নিয়ে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। অঘোষিত কমিটি দিয়ে তারা লুঠপাটে ব্যস্ত। নির্বাচিত কমিটি হলে মসজিদ উন্নয়ন এগিয়ে যাবে। সংবাদ সম্মেলনের পক্ষে তারা মতামত জানিয়ে এবিষয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈকা সাহাদাত, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল আজম ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.