আবদুল আজিজ:
কক্সবাজারে বেসরকারিভাবে স্থাপিত দেশের প্রথম বিশ্বমানের সী এ্যাকুরিয়ামে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য ডিসকাউন্টের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজারে যারা বেড়াতে আসেন তাদের জন্য এই সী এ্যাকুরিয়াম অন্যতম আকর্ষণ। এই এ্যাকুরিয়ামে দর্শনার্থীরা দেখতে পায় সাগরতলের রহস্যময় জগতের বিভিন্ন প্রজাতির জীব বৈচিত্র্য।
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড পরিচালিত এই সী এ্যাকুরিয়ামে এবারের ঈদুল আজহা উপলক্ষে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য ১০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্টের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া সকল শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট রয়েছে। সাড়ে তিন ফিটের নীচের শিশুদের জন্য এই এ্যাকুরিয়াম পরিদর্শন ফ্রী রাখা হয়েছে।
রবিবার থেকে আগামী পাঁচ দিন এই ডিসকাউন্ট দেয়া হবে। কক্সবাজার রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই ডিসকাউন্টের ঘোষণা দেন।
শফিকুর রহমান জানান, সী এ্যাকুরিয়ামে বর্তমানে সাগরতলের দু'শ প্রজাতির মাছ ও জীব রয়েছে। সী এ্যাকুরিয়ামটিকে জীবন্তভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সমুদ্রের গভীর তলদেশ, নানা প্রাণীর বসবাসের চিত্র। বিরল প্রজাতির মাছসহ এখানে আছে হাঙর, পিরানহা, শাপলাপাতা, পানপাতা, কাছিম, কাঁকড়া, সামুদ্রিক শৈল, পিতম্বরী, সাগর কুঁচিয়া, বোয়াল, জেলিফিস, চেওয়া, পাঙ্গাস, আউসসহ আরও অনেক মাছ এবং জলজ প্রাণী। শফিকুর রহমান জানান এ্যাকুরিয়ামে নতুন অতিথি ৭০ কেজি ওজনের ক্যাট ফিস ৬০ কেজি ওজনের কাছিম ৬৫ কেজি ওজনের হাংগর মাছ সহ গভীর সাগরের দুষ্প্রাপ্য কিছু মাছ।
তিনি জানান এ্যাকুরিয়ামটিতে সাগরের ২০০ প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। অচেনা এবং বিলুপ্ত প্রায় অনেক মাছও রয়েছে। সাগরের বিলুপ্ত মাছ বিভিন্ন প্রাণী সংরক্ষণে একটি জাদুঘরও করা হচ্ছে। এটা শুধু বিনোদনের জন্য নয়, এটি সাগরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণী সম্পর্কে জানার একটি শিক্ষাকেন্দ্র। পর্যটন শিল্প বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, সাগরতলের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ছাড়াও এই সী এ্যাকুরিয়ামটিকে কেন্দ্র করে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড সেন্টারকে একাধিক জোনে গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে থ্রি-নাইন ডি মুভি দেখার নান্দনিক স্পেস, দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির পাখি, ছবি তোলার জন্য ডিজিটাল কালার ল্যাব, শপিং স্পেস, লাইভ ফিশ রেস্টুরেন্ট, ইবাদতের জায়গা, শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা, বিয়ে বা পার্টির জন্য কনফারেন্স হল ও ছাদে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগের পাশাপাশি রয়েছে বার-বি কিউর ব্যবস্থা। এছাড়া রয়েছে সুপরিসর পার্কিং ও লাগেজ রাখার লকার। এখানে এসে কোনোরকম বিরক্তি ছাড়াই কীভাবে নিমিষেই ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা কেটে যাবে বোঝাই যাবে না। পুরো সেন্টার নিরাপত্তা বেষ্টনী সিসিটিভির আওতায় থাকবে সর্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে। সী এ্যাকুরিয়ামে প্রবেশের জন্য ফি ৩০০ টাকা।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.