খেলাধুলা ডেস্ক:
একই খেলোয়াড়, একই কোচিং স্টাফ, একই ড্রেসিংরুম, একই রণ কৌশল। অথচ ফলাফলে কতোটা পার্থক্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্সের সঙ্গে ওয়ানডের কোনো মিল-ই নেই। প্রথম ওয়ানডে ৬ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ওয়ানডে বাংলাদেশ জিতেছে ৯ উইকেটে।
সাদা পোশাকে হারার আগেই হেরে যায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা আয়ত্বেই আসেনি। অথচ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য। এখানে প্রতিপক্ষকে জিততেও ঘাম ঝরাতে হয়। আর নিজেদের দিনে বাংলাদেশ নাস্তানাবুদ করে যে কাউকে। কোনো ভুল না করলে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের জয় আটকানো কঠিন।
এ বছরের শেষ পাঁচটি সিরিজই তার প্রমাণ। শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে তামিম ইকবালের দল। বলার অপেক্ষা রাখে না সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার পর তামিমের আস্থাভাজন কাঁধেই রয়েছে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটের দায়িত্ব।
ওয়ানডেতে কেন বদলে যায় বাংলাদেশ? প্রশ্নটা ঘুরপাক খায় সবার মনেই। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম খোলাসা করলেন।
‘আমার মনে হয়, আমরা এই খেলাটাতেই হয়তোবা একটু কমফোর্টেবল। বেশকিছু ম্যাচও খেলেছি এটাতে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও আপনি যদি দেখেন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আমার মনে হয় সব থেকে প্রতিযোগিতামূলক যেটা আমরা বাংলাদেশে খেলি। সম্ভবত এই কারণেই আজ এই জায়গায় ফলাফলটা আসে। আর যে জায়গায় একটু ফলাফল আসে সেই জায়গার পরিবেশটাই একটু ভিন্ন থাকে।’
টানা দশ জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যবধান স্পষ্ট। তবে এই জয়ের উদযাপন গাঢ় হয়নি সফরের অন্য দুই ফরম্যাটের ফলের কারণে। তামিমের মতে, এই সাফল্য বড় দলগুলোর বিপক্ষে জয়ের উদযাপনের মতোই করা উচিত।
তার ভাষ্য,‘আপনি যার সাথেই জেতেন না কেন- ইংল্যান্ড বলেন, নিউ জিল্যান্ড বলেন, জিম্বাবুয়ে বলেন, হয়তো র্যাংকিংয়ে ওপর-নিচে থাকে, কিন্তু আমাদের জয়ের জন্য অনেক কষ্ট করা লাগে। যে সেঞ্চুরি করে বা যে পাঁচ উইকেট পায় তারও কষ্ট করা লাগে।’
‘আমার কাছে মনে হয়, প্রত্যেকটা জয়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে। অস্ট্রেলিয়ার সাথে যদি সিরিজ জিতি আমাদের যেভাবে উদযাপন করা উচিত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে, জিম্বাবুয়ের সাথে বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে জিতলে একই ভাবে উদযাপন করা উচিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটাই এমন যে আপনাকে জয় কেউ উপহার দিবে না। আপনাকে জয়ের জন্য যুদ্ধ করতে হবে।’
তামিমের হাত ধরে বাংলাদেশ ৩১তম সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে। আগামী ১৬ জুলাই গায়ানাতেই হোয়াইটওয়াশের মিশনে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধরা। সফরের শুরু ও মাঝে ভালো কিছু না পেলেও শেষটা রঙিণ করতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.