ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
‘রোববার জব্দ করা কনটেইনারটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের ১ হাজার ৪৩০ কার্টন মদ পাওয়া যায়। উচ্চ শুল্কের এই পণ্যে মোট ১২ কোটি ৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে।’
চট্টগ্রামে বন্দরে আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানি করা মদের তৃতীয় কনটেইনারে সাড়ে ১২ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর) মো. সাইফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘রোববার জব্দ করা কনটেইনারটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের ১ হাজার ৪৩০ কার্টন মদ পাওয়া যায়। এসব কার্টনে মোট ১৫ হাজার ২০৪ লিটার মদ রয়েছে, যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য দুই কোটি তিন লাখ টাকা প্রায়। উচ্চ শুল্কের এই পণ্যে মোট ১২ কোটি ৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে।’
রোববার দুপুরে বন্দরের ৫ নম্বর ইয়ার্ডে এসব মদ জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিরীক্ষা, অনুসন্ধান ও গবেষণা (এআইআর) টিম।
ডেপুটি কমিশনার জানান, রপ্তানিকারক, তৈরি দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসায়ের ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বর্ণনা প্রভৃতি বিশ্লেষণ করে পণ্য চালানটির বিষয়ে এআইআর টিমের সন্দেহ হয়। পরে বেপজার ওয়েবসাইটে এই চালানের আইপি যাচাই করে অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এতে শনিবারই চালানটি সিলগালা করা হয়।
এর আগে আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা দুই কনটেইনার মদ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে জব্দ করা হয়। র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা ও হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে এসব মদ জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা।
এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী দুটি কনটেইনারে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
কাস্টমসের এ কর্মকর্তা আরও জানান, এই দুই কনটেইনারে ১ হাজার ৩৩০ কার্টনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩১ হাজার ৬২৫ দশমিক ৫ লিটার বিদেশি মদ পাওয়া যায়। এসব মদের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। উচ্চশুল্কের পণ্য হওয়ায় এই চালানের মাধ্যমে ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে।
মদ জব্দের পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাব জানায়, এর পেছনে রয়েছে একটি পারিবারিক সিন্ডিকেট। বাবা ও দুই ছেলের ওই সিন্ডিকেট ভুয়া গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের পণ্যের নামে দুবাই থেকে মদের এই বিশাল চালান দেশে আনার চেষ্টা করে।
ইতোমধ্যে এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের মধ্যে সিন্ডিকেট পরিচালনাকারী দুই ছেলের একজন রয়েছেন।মদের তৃতীয় কনটেইনারটিও একই চক্রের আমদানি করা হতে পারে বলে জানান ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.