ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
বাইরের কোনও দেশ বাংলাদেশ বা দেশের রাজনৈতিক দলকে হুমকি-ধামকি বা সমর্থন দেবে নির্বাচন কমিশন তা বিশ্বাস করে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘এটা হলেও সংশ্লিষ্ট দলকে তা রাজনৈতিকভাবেই ফেইস করতে হবে। কমিশনের ক্ষেত্রে করার কিছু নেই; সেটা হওয়ারও কথা নয়।‘
সোমবার (২৫ জুলাই) ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন। পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসির সাথে সংলাপে অংশ নেয়।
এর আগে বিদেশি সমর্থন বা হুমকি সম্পর্কে সংলাপে বাদশা বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে বা কোনও বিশেষ দলের ক্ষেত্রে দেশের বাইরে থেকে কোনও সমর্থন যদি থাকে, সেক্ষেত্রে আপনারা কী করবেন? যদি এমন কোনো কথা উঠে আছে এটাও আলোচনার মধ্যে থাকার দরকার। এমনও আছে দেশের বাইরেও দলের অফিস আছে। আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয় কিনা?’
এর জবাব দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেওয়ার দাবি প্রসঙ্গেও কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অধীনে সরকারের কোনও মন্ত্রণালয় ন্যস্ত হলে সংকট সৃষ্টি হতে পারে। ইসিকে শক্তিশালী করতে অনেকগুলো বিষয় কমিশনের উপর ন্যস্ত করার কথা অনেকেই বলেছেন। সাংবিধানিকভাবে এটা গভর্মেন্ট ন্যস্ত করলেই যে আমি নিতে পারবো, আমার সন্দেহ আছে। কারণ কেবিনেট ইন রিলেটেড বাই দ্য কনস্টিটিউশন।’
তবে সংবিধান ও আইনকানুন সংশোধন করে ন্যস্ত করা হলে নেওয়া যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আদারওয়াইজ ইলিগ্যালি দিতে চাইলে যে আমরা নিতে পারবো বা নেবো, এ বিষয়ে আশ্বাস দিতে পারি না।’
কেবিনেট কীভাবে ফর্ম হবে, কাদের নিয়ে হবে তা সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘কাজেই নির্বাচন কমিশন ইজ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন ইজ নট এ মিনিস্ট্রি- এটা আপনারা জানেন। আমি কিন্তু আমি যে নির্বাচন কমিশনের হোম মিনিস্টার, ডিফেন্স মিনিস্টার বা ওই ধরনের কোনও মিনিস্টার হয়ে যাবো; সেটা আরেকটা সংকট সৃষ্টি করতে পারে।’
‘গরীব-বিত্তবান বাস্তবতা’ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘এটা এমন একটি কঠিন বাস্তবতা যা ইসির পক্ষে ওভারকাম করা কঠিন। আমরা একমত- বৃত্তের একটা শক্তি এখনও আছে। অর্থের শক্তি আছে। আপনারা বলেছেন, ২০ লাখ টাকা খরচের কথা বাইরে খরচ ২০ কোটি টাকা, আমরা সেটা তো আমরা চোখে দেখি না। অনেকে বলে তাই বিশ্বাস করতে হয়।’
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.