ধর্ম ডেস্ক:
আজ শুক্রবার এশার নামাজের পর পবিত্র কাবার গিলাফ পরিবর্তন করা হবে। মসজিদে হারাম পরিচালনা পরিষদের প্রেসিডেন্ট শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসের তত্ত্বাবধানে গিলাফ পরিবর্তনের কাজে ১৬৬ জন প্রযুক্তিবিদ এবং কারিগরের একটি দল কাজ করবেন। এবার হজের দিন পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ বা কিসওয়াহ পরিবর্তন করা হয়নি। রীতি অনুযায়ী প্রতিবছর ৯ জিলহজ হজযাত্রীরা আরাফার ময়দানে চলে গেলে সেই সময় তা পরিবর্তন করা হতো। কিন্তু এবার তা মহররম মাসের শুরুতে বদলানো হবে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়। সে মতে আজ এশার নামাজের পর থেকে কাবার গিলাফ পরিবর্তনের কাজ শুরু হবে। গত ১১ জুলাই নতুন গিলাফটি কাবাঘরের জ্যেষ্ঠ রক্ষক ড. সালেহ আল শাইবির কাছে হস্তান্তর করেন মক্কার গভর্নর খালিদ আল ফয়সাল। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস।
কিসওয়াহ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সের উপপরিচালক আবদুল হামিদ বিন সাইদ আল মালিকি বলেন, জিলহজের নবম দিনের বদলে মহররম মাসের শুরুতে নতুন হিজরি বর্ষ উপলক্ষে কাবার গিলাফ পরিবর্তন করা হবে। কাবার গিলাফটি খুব টেকসই ও মানসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়, যেন রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট না হয় এবং এতে খাঁটি রেশম ব্যবহার করা হয়।
সন্ধ্যার পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নতুন গিলাফ বাদশাহ আবদুল আজিজ কমপ্লেক্স থেকে মসজিদে হারামে নেওয়া হবে। হারামাইন শরিফাইনের পরিচালক ফাহাদ আল আবদালি এক বিবৃতিতে বলেছেন, কাবার গিলাফ বড় একটি ট্রাকে করে মসজিদে হারামে নিয়ে যাওয়া হবে এবং গিলাফ চড়ানোর সময় ব্যবহৃত আনুষঙ্গিক আসবাবপত্র নেওয়া হবে আরও দুটি উন্নতমানের দুটি পিকআপে করে। গিলাফ পরিবর্তনের কাজে নিয়োজিত দক্ষ কর্মীরা অত্যন্ত সতর্কতা ও যতেœর সঙ্গে নতুন গিলাফ ট্রাক থেকে নামিয়ে কাবার গায়ে চড়াবেন। এ সময় বায়তুল্লাহর চারপাশে ব্যারিকেড দেওয়া হবে। তাওয়াফকারীরা এই ব্যারিকেড অতিক্রম করতে পারবেন না।
কাবার গিলাফ তৈরিতে প্রায় ২০০ জন শিল্পী ও কর্মচারী আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সে কাজ করে থাকেন। বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেন তারা। কাবার গিলাফের প্রত্যেকটি অংশ তৈরির জন্য আলাদা আলাদা বিভাগ আছে। এখানে থাকা সেলাই বিভাগে রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেলাই মেশিন। যেটি ১৬ মিটার লম্বা। কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি চালানো হয়।
এদিকে কাবার নতুন গিলাফটি তৈরি করা হয়েছে ৬৭০ কেজি কাঁচা সিল্ক দিয়ে। এগুলোতে কালো রং করা হয়েছে। তাছাড়া গিলাফ তৈরিতে ১২০ কেজি সোনালি রঙের সুতা এবং ১০০ কেজি রুপালি রঙের সুতা ব্যবহার করা হয়েছে।
কাবাঘরকে গিলাফ দিয়ে আচ্ছাদন কখন বা কার উদ্যোগে শুরু হয় সেই সম্পর্কে মতভেদ আছে। এক ঐতিহাসিক সূত্রে বলা হয়েছে, হজরত ইসমাইল (আ.) প্রথম পবিত্র কাবাঘরকে গিলাফ দিয়ে আচ্ছাদন করেন। ভিন্ন আরেক বর্ণনায় আছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পূর্বপুরুষ আদনান ইবনে আইদ পবিত্র কাবাঘরকে প্রথম গিলাফ দিয়ে আচ্ছাদিত করেন। তবে অধিকাংশ ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী, হিমিয়ারের রাজা তুব্বা পবিত্র কাবাঘর গিলাফের মাধ্যমে আচ্ছাদনকারী প্রথম ব্যক্তি।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.