ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
ধীরে ধীরে ডলারের সংকট কেটে যাচ্ছে। রেমিট্যান্স বাড়ার পাশাপাশি আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ার কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এর ফলে হু হু করে বাড়তে থাকা মার্কিন ডলার এখন উল্টো পথে হাঁটছে। খোলা বাজারে প্রতিদিনই কমছে ডলারের দাম, বিপরীতে বাড়ছে টাকার মান।
গত সপ্তাহে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ ডলার ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১১ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা বাজারে ডলারের দাম কমেছে ১০ টাকা।
রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা ও গুলশান এলাকার একাধিক মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ১১০ টাকায় ডলার কিনে ১১২ টাকায় বিক্রি করছেন।
অবশ্য আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৯৫ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।
তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও এখন ১০৬ থেকে ১০৮ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী উদ্যোগের সুফল মিলছে ডলারের বাজারে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকে আরও কমবে ডলারের চাহিদা। এতে করে খোলা বাজারে ডলারের দাম আরও কমে আসবে।
এদিকে দেশে ডলারের সংকট কাটাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানিতে দেওয়া হয়েছে নানা শর্ত। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে দেওয়া হয়েছে নীতিগত ছাড়। এছাড়া ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ডলার কারসাজির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ধরতে চালাচ্ছে অভিযান। অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধানদের অপসারণ সংক্রান্ত নির্দেশনার পর ওই ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর এমডিদের বুধবার এ চিঠি দেওয়া হয়। এছাড়া ডলার বিক্রির অতিরিক্ত মুনাফা ব্যাংকের আয় খাতে নেওয়া যাবে না বলে সব ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। ওই ছয় ব্যাংক হলো— ডাচ-বাংলা, সাউথইস্ট, প্রাইম, সিটি, ব্র্যাক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এদিকে ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে ডলারে অস্বাভাবিক মুনাফা করেছে— এমন আরও অন্তত ১০টি ব্যাংকের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকগুলোর মতো মানি চেঞ্জারদের ক্ষেত্রেও ডলার বেচা-কেনায় ব্যবধান (স্প্রেড) নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক্ষেত্রে ব্যাংকের সঙ্গে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবধান হবে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সা। ব্যাংক ডলার কিনে ১ টাকা লাভে বিক্রি করতে পারবে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) খোলাবাজারে বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১০ মে’র নির্দেশনায় ডলারের সরবরাহ বাড়াতে ব্যাংক ও রফতানিকারকের ডলার ধারণের ক্ষমতা কমানো হয়েছে। রফতানি আয় আসার এক দিনের মধ্যে ডলার নগদায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ডলারের দর নিয়ন্ত্রণের জন্য এক ব্যাংকের রফতানি আয় অন্য ব্যাংকে ভাঙানোর ওপর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.