ভয়েস প্রতিবেদক:
টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছুটে এসেছেন হাজারো পর্যটক। সৈকতে এসে বিনোদনপ্রেমীরা উৎসবে মেতেছেন এখানকার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। অনেকেই আবার সৈকতের নোনাজলে নেমে আত্মহারা। এতে আয় বেড়েছে সৈকতের হকারদের। অন্যদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা যায়, জেড স্কিতে চড়ে নীল জলরাশি উপভোগে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। আর সৈকতের প্রবেশদ্বার বালিয়াড়িতে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরছেন অনেক পর্যটক। অনেকে ঘোড়ার পিঠে উঠে ছবি তুলেও আনন্দ খুজেঁ নিচ্ছেন।
শুধু ওয়াটার বাইক বা ঘোড়ায় চড়া নয়, সাগরের নোনাজলে গা ভাসাতে যেন অপার আনন্দ সবার। কেউ ঢেউয়ের সঙ্গে উত্তাল আনন্দে গোসলে মেতেছেন। কেউ আবার এই আনন্দ উৎসবের দৃশ্য ধরে রাখতে তুলছেন ছবি।
ঢাকার উত্তরা থেকে এসেছেন ইমরান আহমদ। পাঁচ বছরের সন্তান সোয়েবকে নিয়ে সাগরের পানিতে জেড স্কি নিয়ে ঘুরে এলেন। জেড স্কি থেকে নেমে তিনি বলেন, সাগরের নীল জলরাশিতে ভ্রমণ রোমাঞ্চকর এক অনুভূতি। কয়েক মিনিটে ভ্রমণ মনে হয়েছে নীল জলরাশির ওপর দিয়ে হাঁটছি। টানা ছুটিতে কক্সবাজারে এসে সত্যিই আনন্দ খুব ভালো লাগছে।
ঘোড়ার পিঠে উঠে ছবি তুলছেন মিরপুরের রহিম উদ্দিন। তিনি বলেন, কক্সবাজার আসলেই ঘোড়ার পিঠে উঠে ঘুরে বেড়াই। এটা অনেক আনন্দের। এবার ঘোড়াটা অনেক বড় ছিল এবং দেখতেও বেশ সুন্দর। তাই অনেক ছবি তুললাম।
পর্যটকের উপস্থিতিতে ব্যস্ততা বেড়েছে সৈকতের ঘোড়াওয়ালা, জেড স্কি চালক ও ফটোগ্রাফারদের। তারা বলছেন, টানা ছুটিতে পর্যটক বেশি আসায় আয়ও বেড়েছে তাদের।
কলাতলী সৈকতের ঘোড়াওয়ালা কাদের বলেন, পর্যটকরা আর আগের মতো ঘোড়ায় চড়েন না। তাই আয়-রোজগারও কম। কিন্তু এখন টানা ছুটিতে অনেক পর্যটক এসেছেন। অনেকেই ঘোড়ার পিঠে উঠে ঘুরছেন, ছবি তুলছেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২ হাজার টাকার মতো আয় করেছি।
জেড স্কি চালক রফিক বলেন, সপ্তাহের অন্যান্য দিন ১০ হাজার টাকা আয় করলেও বৃহস্পতিবার ৩০ হাজার টাকা ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা আয় হয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন লাখের বেশি মানুষ। অন্যদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক টহলসহ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের উপ-পরিদর্শক কামাল বলেন, টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক উপস্থিতি বাড়ায় বিভিন্ন স্পটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ টিমও কাজ করছে। তাই পর্যটকরা নিরাপদে কক্সবাজার ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.