প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ৩, ২০২৫, ১১:৫৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১৭, ২০২০, ১০:০৮ পি.এম
ভারী বর্ষণে বড় মহেশখালীর ৭০ পরিবার পানির নিচে

এম. বশির উল্লাহ, মহেশখালী:
মহেশখালীতে অতি বৃষ্টির কারণে বড়মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরাকাটা গ্রামের প্রায় ৭০টি ঘর পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে প্রতিটি ঘরের আসবাবপত্র, ব্যবহৃত ইলেক্ট্রিক যন্ত্রপাতি সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যায়। আর প্রায় বাড়ির নলকুপ, টয়লেট পানিতে ডুবে থাকায় নানান অসুবিধে সহ খাবার পানির সংকটে ভুগছে তারা। এছাড়াও মাটির ঘরের দেয়াল ধসের আশংকায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছে। গবাদিপশু ও হাসমুরগি নিয়ে আছে চরম বিপাকে। ইতিমধ্যে পানিতে ডুবে হাসমুরগি ও গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, মহেশখালীর পশ্চিমের বেড়িবাধের সুইচ গেট দিয়ে পর্যাপ্ত পানি বের না হওয়ায় মুলত গ্রামটি ডুবে যায়। সুইচ গেইটের বাঁধটি কেটে দিলে পানি নেমে যাবে বলে এলাকাবাসী জানান। প্রতি বছর বর্ষাতেই সুইচ গেইটের কারণে গ্রামটি প্লাবিত হয়।
ইসহাক, রবিউল আলম, মোস্তাক, শাহজান, সিরাজুল হক সহ ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীরা জানান, গতকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণের কারণে গ্রামে পানি জমতে থাকে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পানি এই গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়। খাল ভরাট ও পশ্চিমের বেড়িবাধের সুইচ গেট দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি বের হতে না পারায় গ্রামটি ডুবে যায়। যাতে করে গ্রামবাসীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয় বলে তারা জানান। তারা আরো জানান, বর্তমানে গ্রামের ৫০টির অধিক পরিবার অন্যত্র বসবাস করছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে গ্রামটি তলিয়ে যায়। এতে করে বিলের ক্ষেত খামার নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করেছেন তারা।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছেন, তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশ্বাস দেন। অতিবৃষ্টির ফলে নিচু এলাকার মানুষদের সহযোগিতার জন্য উধর্তন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলেও জানান।
এদিকে উপজেলার প্রায় নিচু এলাকা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রা জানান।
ভয়েস/ আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.