বলরাম দাশ অনুপম:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় কয়েকদিনের ভারি বর্ষণের সুযোগে পাহাড় কাটায় ব্যস্ত হয়ে ওঠেছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। ওই চক্রটি পাহাড় কেটে মাটিগুলো বৃষ্টির পানির স্রোতে ছেড়ে দিচ্ছে। ফলে পাহাড়ি ঢলে মাটিগুলো ধুয়ে মুছে নিয়ে যাচ্ছে সমতলে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে ভারি বর্ষণ অবস্থায় সরেজমিনে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুচ্ছালিয়াপাড়ার পাহাড়খেকু আবদুল খালেক, আবদুল গফুর, আবুল বশর, আবদুল কাদের, আবদুল মোনাফ, আবুল কালাম ও আবু তালেবের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হলে পাহাড় কেটে ভারি বর্ষণের পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাটিগুলো ভাসিয়ে দেয়। ফলে অধিক পাহাড় ধসে প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি পাহাড়ের মাটিযুক্ত পানি পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ি ও চলাচল রাস্তায় একাকার হয়ে যায়। এতে বসবাস ও চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে অনেকের বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট। এই চক্রের দৌরাত্মে পাহাড়ধসের আতঙ্ক নিয়ে অনেক পরিবারকে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি এমনকী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয়দের ধারনা, ভারি বর্ষণে পাহাড় কাটা ব্যাহত রাখলে যেকোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে পাহাড় ধসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণহানীসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা।
জানা গেছে, বিগত সময়ে পাহাড় কাটার ফলে সংশ্লিষ্ট পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার বাদি হয়ে ২টি মামলা রুজু করে। এরপর থেকে পাহাড় কাটা কিছুদিন বন্ধ থাকার পর এবারের বর্ষার শুরুতে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে পাহাড় খেকোরা পাহাড় কাটা শুরু করেছে।
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, পাহাড় কাটা অবশ্যই পরিবেশ আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। পরিবেশ নষ্টের এ কাজে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শীঘ্রই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে সাজা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.