আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রানি এলিজাবেথ মারা গেছেন। তার মৃত্যুর পরে কী কী হবে আগে থেকেই ঠিক হয়ে রয়েছে। ঠিক কী কী পরিকল্পনা রয়েছে? বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রাজপরিবার সূত্রের বরাতে দাবি করা হয়েছে, এলিজাবেথের মৃত্যুর ১০ দিন পরে তাকে সমাধিস্থ করা হবে। তার আগে তার ছেলে প্রিন্স চার্লস যুক্তরাজ্যের চারটি অঞ্চল সফর করবেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিন দিন রাখা হবে রানির মরদেহ। শোকসভার আয়োজন করা হবে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালে।
রানির মৃত্যুর পর তার মরদেহ দেখতে যে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে সেজন্য পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যানজট তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। আর সেই কারণেই পুরো বিষয়টিকে কীভাবে সামলানো হবে তার আগাম পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো রানির মৃত্যু পরবর্তী ১২ দিন দেশটিতে সব কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়বে। যাতে দেশটির অর্থনীতিতে বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারে। ইতোমধ্যেই বদলে গেছে দেশটির জাতীয় সংগীতও। শেষকৃত্য শেষ হওয়ার পরদিন পর্যন্ত পতাকা অর্ধনিমিত থাকবে। শোক পালন করবে বিভিন্ন দেশের ব্রিটিশ দূতাবাসগুলোও। রানির শেষকৃত্য দেখবেন বিশ্বের শতকোটি মানুষ।
এর মধ্যেই সিংহাসনে নতুন রাজার শপথের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রিভি কাউন্সিলর, লর্ডস, মেয়র, কমনওয়েলথভুক্ত দেশের হাইকমিশনাররা। নতুন রাজা চার্লস দেশটির পার্লামেন্ট ও চার্চের প্রতি অনুগত থাকার শপথ নেবেন।
এর মধ্যে প্রিন্স অব ওয়ালেস হবেন প্রিন্সস উইলিয়াম। রানির মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যে দায়িত্বে ছিলেন চার্লস।
মৃত্যুর তৃতীয় দিন রানির কফিন বালমোরাল থেকে সড়কপথে হলিরুড হাউসের প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হবে।
পরদিন রয়্যাল মাইল বরাবর হলিরুড থেকে সেন্ট জাইলস ক্যাথেড্রাল পর্যন্ত রাজপরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে একটি আনুষ্ঠানিক শোকযাত্রা হবে। সেই অনুষ্ঠানের পরে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেন্ট জাইলস ক্যাথেড্রাল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আর রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা জানানো হবে লন্ডনে।
পঞ্চম দিন সন্ধ্যার পর রানির কফিন এডিনবার্গ ওয়েভারলি স্টেশনে স্থানান্তর করা হবে। সেখান থেকে রাতেই রাজকীয় ট্রেনে পরের দিন সকালে লন্ডনের সেন্ট প্যানক্রাস স্টেশনে পৌঁছানোর কথা।
পরদিন লন্ডনে আনুষ্ঠানিকতার কয়েক ঘণ্টা আগে কফিনটি বাকিংহাম প্যালেসে পৌঁছাবে। এরপর কফিন বাকিংহাম প্যালেস থেকে ওয়েস্টমিনস্টার হলে নেওয়া হবে। সেখানে পাঁচ দিন রাখা হবে।
রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধার সময় সাধারণ জনগণও রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন। কফিনটি ওয়েস্টমিনস্টার হলের মাঝখানে একটি সুসজ্জিত শবমঞ্চে রাখা হবে। এটি দৈনিক ২৩ ঘণ্টা জনসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সপ্তম দিনেও রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অব্যাহত থাকবে। অষ্টম দিন রাজা তৃতীয় চার্লস কার্ডিফের লাল্যান্ডফ ক্যাথেড্রালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়েলসে যাবেন। এরপর ওয়েলস পার্লামেন্ট যাবেন এবং সদস্যদের সমবেদনা গ্রহণ করবেন। এর মধ্যেই কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা লন্ডনে আসতে শুরু করবেন।
নবম দিনে রাজা চার্লস বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা গভর্নর জেনারেল ও ফার্স্ট মিনিস্টারদের অভ্যর্থনা জানাবেন।
ভিআইপি বিদেশি অতিথিরা রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। পরদিন রাষ্ট্রীয় শবযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে শেষ বিদায় জানানোর পর রাজকীয় ভল্টে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সমাধিস্থ করা হবে।
এর এক বছর পর অনুষ্ঠিত হবে নতুন রাজার রাজ্যভিষেক অনুষ্ঠান। ব্রিটেনে প্রায় ৭ দশক পর এমন অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। সেই অভিষেক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হবে সেই একই ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবিতে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.