আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার প্রেনিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই বৈঠকের পর ইউক্রেন প্রশ্নে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট চীনের প্রশংসা করেছেন।
তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন যে, এই বিষয়ে বেইজিংয়ের কিছু প্রশ্ন এবং উদ্বেগ রয়েছে। তবে সেগুলো ঠিক কী পুতিন সে সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি। কিন্তু এটা মনে করা হয়, ইউক্রেনের ওপর মস্কোর হামলার প্রতি চীনের সমর্থন সীমাহীন নয়।
শি জিনপিং এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত এই বৈঠকটি উজবেকিস্তানের সমরখন্দ শহরে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও জোটের শীর্ষ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসসিও’র এই শীর্ষ সম্মেলনকে অনেকে দেখছেন পশ্চিমা বিশ্বে ন্যাটোর মত জোটগুলোর প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য একটি পাল্টা জোট হিসেবে।
এতে চীন ও রাশিয়া ছাড়াও আছে ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো। ভ্লাদিমির পুতিন ও শি জিনপিং ছাড়াও এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
বর্তমান বিশ্বে ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও চীন ও পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এই সম্মেলনের ওপর ছায়া ফেলেছে। তবে বৃহস্পতিবার চীন ও রাশিয়ার দুই নেতার বৈঠকটি নিয়ে অনেকদিন ধরেই আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল।
বেইজিং সরকার ইউক্রেনে রুশ অভিযানকে মৌখিকভাবে সমর্থন দিলেও এর চেয়ে বেশি কোনো ভূমিকা রাখার ব্যাপারে সতর্ক ছিল। পুতিন অবশ্য চীনের কাছ থেকে আর কোনো সহায়তা চেয়েছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
চীনা প্রেসিডেন্ট শুধু এটুকুই বলেছেন, চীন বড় শক্তিধর দেশ হিসেবে রাশিয়ার সাথে একসাথে কাজ করতে চায়।
অন্যদিকে মধ্য এশিয়াকে ঐতিহ্যগতভাবেই মস্কো সরকার তার প্রভাব বলয়ের অংশ বলে মনে করে। তবে সম্প্রতি এই অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি বাড়ছে এবং তাদের রাজনৈতিক প্রভাবও এখন আগের চাইতে অনেক বেড়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.