আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপ রাজ্য তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে আটকে পড়া ২৩০টি তিমির মধ্যে প্রায় ২০০টি তিমি মারা গেছে বলে উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় বন্যপ্রাণী সেবা থেকে জানানো হয়েছে, সৈকতে আটকে পড়া তিমিগুলোর মধ্যে এখন মাত্র ৩৫টি জীবিত আছে, তবে রুক্ষ প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের বাঁচিয়ে রাখাটা খুবই কঠিন কাজ হবে।
সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, চকচকে কালো স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলো সমুদ্র সৈকতে ছড়িয়ে রয়েছে, সমুদ্রের জলরেখায় বালির মধ্যে সেগুলো যেন আটকে রয়েছে।
এদিকে সামুদ্রিক প্রাণীগুলোকে বাঁচাতে স্থানীয়রাও এগিয়ে এসেছেন। কেউ কেউ তিমির শরীরে কম্বল জড়িয়ে দিচ্ছেন, আবার ঝুড়িতে করে পানির সংস্পর্শে রেখে বাঁচানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় বন্যপ্রাণী অপারেশন ম্যানেজার ব্রেন্ডন ক্লার্ক জানিয়েছেন, আমরা সৈকতে প্রায় ৩৫টি জীবিত তিমি পেয়েছি এবং সকাল থেকে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে এই প্রাণীদের উদ্ধার ও মুক্ত করা। তবে দুর্ভাগ্যবশত এরইমধ্যে অনেকগুলো তিমি মারা গেছে, যোগ করেন তিনি।
দুই বছর আগে ম্যাককুয়ারি বন্দরের কাছে প্রায় ৫০০ পাইলট তিমি আটকা পড়েছিল। যা অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সৈকতে তিমি আটকে যাওয়ার সবচেয়ে বড় ঘটনা। ওই ঘটনায় উদ্ধারকর্মীদের সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে ৩০০-র বেশি তিমি মারা যায়।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এ ঘটনাকে খুবই অস্বাভাবিক বলছেন। গ্রিফিথ বিশ্বিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞানী ওলাফ মেইনেকে বলেছেন, সমুদ্রের পানি ক্রমশ গরম হয়ে উঠছে, এর ফলে তিমি বা অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে সমুদ্র ধীরে ধীরে এক প্রতিকূল স্থান হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর উপর রয়েছে খাদ্যাভাব। সমুদ্রে পর্যাপ্ত খাদ্য না পেয়ে সামুদ্রিক প্রাণীরা তীরে উঠে আসছে।
সূত্র : এনডিটিভি
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.