বিনোদন ডেস্ক:
তিনি টিভি নাটকের শীর্ষ অভিনেতা। ভক্তরা-দর্শকরা তাকে উপাধি দিয়েছেন ‘রোমান্টিক নাটকের কিং’ হিসেবে। দীর্ঘ সময় ধরে নিজের অবস্থান, ইমেজ ধরে রাখার মতো শক্ত কাজটি খুব সহজে করছেন। তিনি আর কেউ নন, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। ১৭ বছরের ক্যারিয়ার তার। এই সময়ে অভিনয়, ব্যক্তিত্ব, কণ্ঠ, ধৈর্য, অধ্যবসায়, পরিশ্রম তাকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। দর্শকদের কাছে যেমন প্রিয় ঠিক তেমনি নির্মাতা-প্রযোজকদের কাছেও আস্থার নাম অপূর্ব। যখন হিন্দি সিরিয়ালে আসক্ত দেশীয় দর্শক, তখন অপূর্ব তার অভিনয়ের ম্যাজিক দিয়ে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন বাংলা নাটকের দর্শক। নাটক ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান ভালো অবস্থানের পেছনে অপূর্বর ভূমিকা অনস্বীকার্য। অভিনয়ের বাইরেও ইন্ডাস্ট্রি ও ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের জন্য সব সময় সামনে থেকে যুদ্ধ করে আসছেন এই অভিনেতা।
গতকাল উত্তরার ক্ষণিকালয় শুটিং হাউজে কথা হলো টিভি’র এই সুপারস্টারের সঙ্গে। আপনি নাটক দুনিয়ায় অপ্রতিরোধ্য। অপূর্বর বিকল্প নেই বলে মনে করেন দর্শক ও নাটক সংশ্লিষ্টরা। আপনার কি মনে হয়? উত্তরে তিনি বলেন, বিকল্প নেই সেটা বিশ্বাস করি না। কারণ কারও জন্য কিছু থেমে থাকে না। তারপরও যারা এটা মনে করেন তারা ভালোবেসেই করেন, আমিও কাজের মাধ্যমে চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত দর্শকদের ভালোবাসার প্রতিদান দেয়ার। রোমান্টিক নাটকের কিং বলা হয় আপনাকে।
বিষয়টি কেমন লাগে? অপূর্ব হেসে বলেন, এটা দর্শকদের দেয়া একটা তকমা। আমি হয়তো রোমান্টিক নাটকের মাধ্যমে দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি কিছুটা হলেও। তাদের এই ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোকে আমি স্যালুট জানাই। এতটা বছর ধরে ইমেজ বজায় রেখে কাজ করাটাও তো কঠিন? অপূর্ব বলেন, আমি দর্শকদের কথা ভেবে কাজ করি। কখনো এমন সংলাপ কিংবা দৃশ্য করিনি যাতে দর্শকরা আহত হয়। এই বিষয়টি আমি সবসময় মেনে চলি, সামনেও চলবো। তাছাড়া দর্শকদের জন্যই আমি অপূর্ব, তাদের প্রত্যাশার প্রতি সম্মান দেখানো আমার দায়িত্ব। নাটকের বর্তমান অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? এ অভিনেতার উত্তর- এখন অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। শিল্পীদের অবস্থাও ভালো। এই পর্যায়ে আসতে সময় লেগেছে, ধৈর্য ধরতে হয়েছে, সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। যদিও এখন হয়তো নাটকের নেতিবাচক বিষয়গুলো সামনে বেশি আসছে, সেটা নিয়ে আলোচনা বেশি হচ্ছে। কিন্তু ভালো নাটক কিন্তু হচ্ছে। আমি যে নাটকগুলো করেছি তার ৬০-৬২টিই কোটি ভিউ পার করেছে ইউটিউবে। এরমধ্যে অনেক গল্পনির্ভর নাটক রয়েছে।
তাছাড়া কমেডি কিংবা অন্য ধরনের নাটকও কিন্তু দর্শকরা নিচ্ছে। সেটা না হলে তো প্রযোজকরা লগ্নি করতো না এসব নাটকে। আর দর্শকদের মধ্যেও শ্রেণি রয়েছে। এক এক দর্শক এক এক রকম নাটক দেখতে পছন্দ করেন। ইন্ডাস্ট্রিকে এ পর্যায়ে আনার পেছনে আপনার ভূমিকার কথা অপকটে স্বীকার করেন সবাই। আপনি কি মনে করেন? অপূর্ব বলেন, আমি শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবিনি, ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে ভেবেছি। সে কারণে নাটক, শিল্পীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সম্মানী বাড়ানোর কথাও আমি বলেছি। দেশের কোনো শিল্পীকে ছোট করা হলে সেটা আমার গায়ে লাগে। কারণ আমি এ জায়গাটিকে নিজের ভেতর ধারণ করি। এটা হয়তো সবাই করে না। আমি যতদিন কাজ করবো এভাবেই ইন্ডাস্ট্রি ও এর মানুষদের জন্য কাজ করতে চাই।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.