আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের গুজরাটে ব্রিটিশ আমলের সেতু ভেঙে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ জনে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভির।
সংস্কারের পর দিনকয়েক আগেই চালু করা হয়েছিল ভারতের গুজরাটের ঐতিহাসিক ঝুলন্ত সেতু। রবিবার (৩০ অক্টোবর) সেই সেতু ভেঙে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গুজরাটের মৌরবি জেলার মচ্ছু নদীর ওপর একটি ঐতিহাসিক ঝুলন্ত সেতু ছিল। পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল শতবর্ষী সেই ব্রিজ। দীপাবলির আগেও সংস্কারের কাজ হয়েছিল। তারপর জনসাধারণের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়েছিল।
ঝুলন্ত সেতুটি আহমেদাবাদ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে। রবিবার সন্ধ্যার দিকে প্রায় ৫০০ জন পূজার কিছু আচার-অনুষ্ঠান করার জন্য সেতুটিতে জড়ো হয়েছিল। হঠাৎ এটি ভেঙে পড়ে। পরে ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মচ্ছু নদীর পানিতে এখনও শতাধিক মানুষ রিখোঁজ রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিহতদের অনেকেই নারী ও শিশু বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ৭০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গুজরাট পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) আশিস ভাটিয়া বলেছিলেন, ‘উদ্ধারকাজ চলছে এবং অনেক মানুষকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি উদ্ধার তৎপরতা পুরোদমে চালানো ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি এই ট্র্যাজেডির জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে। মর্মান্তিক এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য দুই লাখ রুপি ও প্রত্যেক আহত ব্যক্তিকে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি/ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.