আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত পাঁচ বছরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা দ্বিগুণ হয়েছে। তাইওয়ানের ইনস্টিটিউট অব আর্থ সায়েন্স (একাডেমিয়া সিনিকা) এবং ভারতের খড়গপুর আইআইটি’র গবেষকদের এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গবেষণায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে জলীয় বাষ্পের উৎস ও এর তীব্রতা জানার চেষ্টা করেছেন গবেষকরা।
এ বিষয়ে খড়গপুর আইআইটির অধ্যাপক ডক্টর অনিন্দ্য সরকার জানিয়েছেন, নেপার্টক, মেরান্টি, মালকাস এবং মেগি নামক চারটি ঝড় নিয়ে মূলত গবেষণা করা হচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে এই চারটি ঝড় তাইওয়ানে আঘাত হেনেছিল।
গবেষকদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২১ সালে অনেকটা বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে ঝড়ের তীব্রতা ও ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বছরগুলোতে রাজ্যের ওপর দিয়ে ইয়াস, আম্ফান, জাওয়াদের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে।
আইআইটি খড়গপুরের সাবেক অধ্যাপক ও এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ড. সৌরেন্দ্র ভট্টাচার্যের বলেন, যেকোনো ঘূর্ণিঝড়েই প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। আর ওই সময়ের বাতাসের অবশিষ্ট জলীয় বাষ্প পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তা অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের আইসোটোপের অনুপাতে পরিবর্তন করে।
এ বিষয়ে একাডেমিয়া সিনিকার অধ্যাপক ম্যাও-চ্যাং লিয়ান বলেন, গবেষণার জন্য উঁচু ভবনের ওপর একটি স্পেকট্রোমিটার স্থাপন করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে ঝড়গুলো তাইওয়ানের কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের আইসোটোপগুলো পরিমাপ করা সম্ভব হয়।
এদিকে ঝড়ের গতি প্রকৃতির রূপ বদলানোর অন্যতম কারণ হিসেবে বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে দায়ী করছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা এবং সেটি সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি বাড়ছে। ভারত এবং তাইওয়ানের মতো দেশে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি বোঝার জন্য এ গবেষণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.