ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকতে বলেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন না করার পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামনুর রশিদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল নিষ্পত্তি করে গতকাল বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
গতকাল জেলা প্রশাসকের পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে বলা হয়, সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ৪১৭টি ও বালিয়ারিতে ২৬০টিসহ ৬৭৭ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আদালত জেলা প্রশাসককে অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ৭ জুন হাইকোর্ট সৈকতের সৌন্দর্য সংরক্ষণের নির্দেশনাসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। এরপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সেখানে আবারো দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়। স্থাপনা উচ্ছেদে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিবাদীদের (রিট মামলার বিবাদী) আইনি নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ১৪ মার্চ হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা হয়। গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট কক্সবাজারের ডিসি, এসপি, পৌর মেয়র, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দিয়ে ডিসিকে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেয়। ডিসি মো. মামনুর রশিদ গত ২০ অক্টোবর হাজির হলে আদালত তাকে সতর্ক ও ভর্ৎসনা করে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেয়।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.