খেলাধুলা ডেস্ক:
নেইমারের বয়স ছুঁয়েছে মাত্র তিরিশের ঘর। এরইমধ্যে খেলেছেন দুটি বিশ্বকাপ। আগামী সপ্তাহ থেকে কাতারে শুরু হওয়া ফুটবলে বৈশ্বির আসরটিতে হবে তার তৃতীয় পদচারণা। ফর্ম ধরে রাখতে পারলে, অনায়াসেই আরও দুটি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন এই ব্রাজিলিয়ান। কিন্তু অবিশ্বাস্য তথ্য হলো, কাতারই হয়ে যেতে পারে পিএসজি ফরোয়ার্ডের শেষ বিশ্বকাপ। তার নিজের কথায় অন্তত সেই ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ নেইমারকে প্রশ্ন করেছিল, এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ কি না? তাতে পিএসজি তারকার ভাবনায় কোনো অভিমান বা থেমে যাওয়ার মতো কোনো বিষয় নেই। সেখানে আছে দর্শন–তত্ত্ব।
গ্লোবোর প্রশ্নের উত্তরে নেইমার জবাব দেন, ‘আমি শেষ বিশ্বকাপ মনে করেই খেলব। আমি আমার বাবার সঙ্গে নিয়মিতই কথা বলি। সেই আলোচনায় থাকে, প্রতিটি ম্যাচই আমার শেষ ম্যাচ। কারণ, আগামীকাল কী হবে আমরা কেউ জানি না। আপনাকে আমি সামনের বিশ্বকাপ খেলার নিশ্চয়তা দিতে পারব না। সত্যিই জানি না পরেরটা খেলব কি না। আমি শেষ মনে করেই খেলব।’
৩৪ বছর বয়সে আরেকটি বিশ্বকাপ খেলবেন কি না, তা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে পিএসজি ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতেও পারি, আবার না–ও পারি। এটা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। হতে পারে কোচ বদলে গেল, সেই কোচ আমাকে পছন্দ করলেন না।’
কাতার বিশ্বকাপে অনেকেই ব্রাজিলের চেয়েও অন্যদের বেশি এগিয়ে রাখছেন মন্তব্য করে নেইমার বলেন, ‘যদিও প্রচুর মানুষ এবার আমাদের ওপর আস্থা রাখছে না, তবু বলব আমরা ভিন্ন কিছুই দেখাব। এবারের বিশ্বকাপের দলটির ফল ভালো কিছুই হবে। নিজেদের আমি অনেক দূরই দেখতে পাচ্ছি।’
২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। চোট পান ২০১৮ বিশ্বকাপের আগেও। চোটপ্রবণতার কারণে দীর্ঘ সময় খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন কি না জানতে চাইলে, ‘না। ওটা নির্ভর করছে আমি তখন কোন অবস্থায় থাকব তার ওপর। আমি আসলে বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমাদের এবার অনেক দূর যাওয়ার সামর্থ্য আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি শুধু এবারের বিশ্বকাপটা খেলতে চাই। নিজেকে ঢেলে দিতে চাই।’
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.