আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে গত সোমবারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও সহস্রাধিক মানুষ। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১৫১ জন। দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ভূমিকম্পে নিহতদের অনেকেই শিশু, যারা দুপুর ১টার দিকে কম্পনের সময় স্কুল বা মাদ্রাসায় ছিল।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। এটির কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিয়ানজুর অঞ্চলের ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। কেন্দ্রস্থল পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর অঞ্চলে হলেও বৃহত্তর জাকার্তা অঞ্চলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।
কম্পনের ফলে যে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে তাতে কোথাও কোথাও পুরো গ্রাম মাটি চাপা পড়েছে। কমপক্ষে ২২ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। ৫৮ হাজারেরও বেশি মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত প্রত্যক্ষ করে। ২০০৪ সালে সুমাত্রা উপকূলে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প ও এরপরের সুনামিতে এই অঞ্চলজুড়ে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় মারা যায় এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে লম্বক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়। গত বছর সুলাওসি দ্বীপে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামিতে চার হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.