আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। ওই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং।
অভ্যুত্থানের ঠিক আগ মুহূর্তে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সাং সু চিকে আটক করে জেনারেল মিং অংয়ের নেতৃত্বাধীন সামরিক জান্তা। এরপর তাকে একের পর এক মামলায় অভিযুক্ত করে কারাদণ্ড দিয়ে যাচ্ছে তারা। সর্বশেষ শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সু চিকে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর এ অভ্যুত্থান ঠেকাতে শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন সু চি। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন।
লা ইয়াং তাও নামে সু চির একজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ইরাবতিকে অভ্যুত্থানের আগের ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অভ্যুত্থানের আগের রাতে সু চি জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি মিন অং-কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন— তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট অথবা সশস্ত্র বাহিনীর চেয়ারম্যান বানাবেন। কিন্তু জেনারেল মিন অং এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
লাং ইয়াং তাও ইরাবতিকে আরও জানিয়েছেন, ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সু চির দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং আরও পাঁচ বছর দেশ পরিচালনার জন্য নির্বাচিত হয়। ২০২১ সালের শুরুর দিকে সরকার গঠনে কাজ করছিলেন তিনি। কিন্তু এতে বাধা দেয় সেনাবাহিনী। তারা দাবি করে, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, মূলত সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং সু চির কাছে প্রেসিডেন্ট পদের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সু চি এটি প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জেনারেল মিন অভ্যুত্থান ঘটান এবং তাকে বন্দি করেন।
সু চির ওই ঘনিষ্ট ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, সাংবিধানিক বাধার কারণে সু চি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না। জেনারেল মিন সু চিকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন এ বাধা দূর করে তাকে প্রেসিডেন্ট বানাবেন। তবে শর্ত থাকবে, ক্ষমতার প্রথম তিন বছর সু চি প্রেসিডেন্ট থাকবেন। এর পরের দুই বছর তিনি প্রেসিডেন্ট থাকবেন। এসব নিয়ে বনিবনা হয়নি তাদের মধ্যে।
এদিকে সেনাবাহিনী রক্তপাতবিহীন অভ্যুত্থান ঘটালেও পরবর্তীতে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও এখনো পুরো মিয়ানমারের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি সামরিক জান্তা। ফলে নিজ নাগরিকদের ওপরই বিমান হামলা চালিয়েছে তারা।
সূত্র: ইরাবতি
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.