স্বাস্থ্য ডেস্ক:
নানা কারণে কমবেশি অনেকেই গ্যাসের সমস্যায় (অ্যাসিডিটি) ভুগে থাকেন।সাধারণত বেশি ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, দুশ্চিন্তা, ব্যায়াম না করা ইত্যাদির কারণে পেটে গ্যাস তৈরি হয়।
এমন সমস্যা থেকে তৎক্ষণাৎ মুক্তি পেতে অনেকেই অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধের ওপর ভরসা করেন। আবার ভরপেট খাওয়া হয়ে গেলে, আরাম পেতে অনেকেই ঠান্ডা নরম পানীয়ও খেয়ে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধ নয়, জীবনযাত্রায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১) খাবার অভ্যাসে পরিবর্তন
যদি কারও হজমের সমস্যা থাকে, তা হলে খাওয়ার রুটিনে ঘন ঘন পরিবর্তন না আনাই ভাল। এছাড়াও খাওয়ার পর বসে বা শুয়ে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করতে পারলেও ভাল। খুব ভাল হয় যদি ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে খেতে নিতে পারেন।
২) পানীয় খাবেন না
গলা-বুক জ্বালা করলেই ঠান্ডা পানীয় খেলে ফেলা একেবারেই অনুচিত। কারণ, এই জাতীয় পানীয় খেলে ঢেকুর তোলার প্রবণতা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলীর মধ্যে থাকা অ্যাসিড মুখে উঠে আসতে পারে। বমি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
৩) ঘুমের অভ্যাস
বালিশ ছাড়া ঘুমোনোর অভ্যাস? এই অভ্যাস কিন্তু অম্বলের একটি কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শোয়ার সময় পা এবং মাথা যেন একই সরলরেখায় না থাকে। মাথার দিক একটু উঁচুতে রাখতেই পরামর্শ দেন তারা।
৪) ওজন নিয়ন্ত্রণ
দেহের ওজন বেশি থাকলেও হজমের সমস্যা হতে পারে। বয়স অনুযায়ী ওজন কেমন হওয়া উচিত, তা বুঝেই খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চা করলেই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৫) মানসিক চাপ
ঘরে-বাইরে নানা কাজের মধ্যে বাড়তে থাকা মানসিক চাপও হজমের গন্ডগোল ঘটাতে পারে। তার উপর যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে, তা হলে তো সোনায় সোহাগা! মানসিক চাপ কমানোর জন্য হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। আবার ঘর অন্ধকার করে বেশ কিছুক্ষণ হালকা কোনও গান শুনতে পারেন।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.