আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আদানি-কাণ্ডে ভারতের সংসদ উত্তাল। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো এ নিয়ে পার্লামেন্ট ভণ্ডুল হয়ে গেলো। বিরোধীদের দাবি, আদানি-কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্ত করতে হবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গড়তে হবে। গৌতম আদানি ভারতের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ। তাই তাকে বাঁচিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এ নিয়েই তোলপাড় শুরু হয়ে ভণ্ডুল হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওই জালিয়াতির অভিযোগ আনে। এতে তোলপাড় গোটা ভারত। বিরোধীদের বহুদিনের অভিযোগ, আদানির এই উত্থানের পেছনে রয়েছে শাসক দলের যোগসাজশ। নতুন অভিযোগ অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে কারসাজি করেছেন আদানি।
এই অভিযোগ ওঠার পর থেকেই এই গ্রুপের সব সংস্থার শেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অপরদিকে আদানির সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগ থাকলেও এ নিয়ে চুপ রয়েছে মোদি সরকার।
শুক্রবার অধিবেশনে বিরোধী নেতারা অভিযোগের তদন্ত দাবি করলে ভারতীয় সংসদের উভয় কক্ষের অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য তারা যৌথ সংসদীয় কমিটি অথবা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে একটি প্যানেল গঠনের দাবি জানায়। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে মাত্র কয়েকদিনেই আদানি গ্রুপের সব কোম্পানির শেয়ারের বাজারমূল্য ১০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার পড়ে গেছে। গৌতম আদানি এক সপ্তাহ আগেও ছিলেন এশিয়ার এক নম্বর এবং বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি। কিন্তু হিনডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর তার নাম এখন শীর্ষ দশজন ধনী ব্যক্তির তালিকার বাইরে চলে গেছে। ফোর্বসের হিসেবে তিনি এখন বিশ্বের ১৫তম ধনী ব্যক্তি।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.