আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শেয়ারবাজারে ধ্বস অব্যাহত, তিন সপ্তাহে সম্পদ হয়ে গেছে অর্ধেক। কংগ্রেস সোমবার মোদি-আদানি সম্পর্ক নিয়ে প্রচার শুরু করছে- ‘হাম আদানিকে হ্যায় কৌন’! এরপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া। হিনডেনবার্গ-এর ১০৬ পাতার রিপোর্ট জানাচ্ছে যে, গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানি, ভাই রাজেশ আদানি, স্ত্রী প্রীতি আদানি, শ্যালক সমীর ভোরা, ভাইয়ের বেয়াই যতীন মেহতা এই বিলিয়ন ডলার স্ক্যামের সঙ্গে জড়িত। বিনোদ আদানি গৌতম আদানির ভুয়া সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
দুবাইয়ে আদানি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বিনোদ যে বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িত তা জানিয়েছিল পানামা পেপার্স ও প্যান্ডোরা পেপার্স। গৌতম আদানির ভাই রাজেশ তার ভারতের ব্যবসার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। শ্যালক সমীর ভোরা অস্ট্রেলিয়ায় আদানিদের ব্যবসা দেখাশোনা করেন। স্ত্রী প্রীতি পেশায় ডেন্টিস্ট। কিন্তু তিনি আদানি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন। যতীন মেহতাও আদানিদের সংস্থায় উচ্চপদে। হিনডেনবার্গের দাবি, এদের সহযোগিতাতেই গৌতম আদানি বছরের পর বছর বেআইনি কজকর্ম চালিয়ে আসছেন।
কয়েক হাজার কোটি টাকার হীরা কেলেঙ্কারিতেও এরা যুক্ত বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
কংগ্রেস আদানি কেসে মোদির নীরবতা নিয়ে প্রচার শুরু করছে সোমবার। জনপ্রিয় হিন্দি ছবির অনুকরণে এই প্রচারের নাম দেয়া হয়েছে- হাম আদানিকে হ্যায় কৌন! কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেছেন, সেবি এবং ইডি তদন্তে নেমেছে কি-না স্পষ্ট করে জানাতে হবে। দুই বিশিষ্ট ফিন্যান্স বিশেষজ্ঞ উদয় কোটাক ও আনন্দ পিরামল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঘটনায়। স্থানীয় অর্থনীতি ও বিশ্ব অর্থনীতিতে আদানিদের এই পতন কী অভিঘাত ফেলবে তা নিয়ে গোটা দুনিয়া শঙ্কিত। যদিও নির্মলা সীতারামন ও পীযুষ গয়াল এই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো অর্থনৈতিক অপরাধ হয়ে থাকলে ভারতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর চোখের ধ্রুবতারা আদানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সত্যিই কি নেয়া যাবে? সন্দীহান সব পক্ষই।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.