ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রায় ৯০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে এক নবজাতক ও তার মাকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা। ১০ দিন বয়সী শিশুটির নাম ইয়াগিজ। ঘটনাটি ঘটেছে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশে। এখানকার একটি বিধ্বস্ত ভবন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তার মাকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিক বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। খবর বিবিসি
সোমবার ভোরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পার হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, ভূমিকম্পের পর তীব্র শীতল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। তবে তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় এখনও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে জীবিত মানুষকে উদ্ধারের ঘটনায় শোকাবহ পরিবেশকে কিছুটা উল্লাসের রসদ যোগাচ্ছে।
বিবিসি’র সংবাদে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই নবজাতক ও তার মাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের ভিডিওতে দেখা গেছে, নবজাতক ইয়াগিজকে উষ্ণ কম্বলে মুড়িয়ে চিকিৎসার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হচ্ছে। তুর্কি সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাকে প্রায় ‘অলৌকিক’ বলে মন্তব্য করা হচ্ছে।
ইস্তাম্বুলের মেয়র ইকরেম ইমামমোগলুর টিমের সদস্যরা এ উদ্ধার অভিযানে জড়িত ছিলেন। মেয়র টুইটারে বলেছেন, সামানদাগ শহর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। রয়টার্সের ফুটেজে দেখা গেছে, সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। নবজাতক ও তার মায়ের সঙ্গে এই ব্যক্তির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
ভূমিকম্পে হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে আশ্রয়, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বঞ্চিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তবে নতুন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তুরস্কে ৮০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান এই ভূমিকম্পকে ‘শতাব্দীর ভয়াবহতম দুর্যোগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিপর্যয় পরিস্থিতির মধ্যেও জীবিত উদ্ধারের অভূতপূর্ব ঘটনা গত কয়েক দিন ধরে প্রকাশ্যে আসছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের একটি সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল সেখানে কাজ শুরু করেছে।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.