বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা অধরা খান। প্রায় সাত বছর আগে বড় পর্দায় নাম লেখান তিনি। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। অভিনয় ও আবেদনময়ী লুকের কারণে তাকে নিয়ে আশাবাদী চলচ্চিত্র নির্মাতারা। চলচ্চিত্রই অধরার ধ্যান-জ্ঞান। তার মতে— ক্যারিয়ারে সংগ্রামী সময় পার করছেন তিনি।
অধরার বড় বোন নাচ শিখতেন। আর অধরা ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন কিছু একটা করার, যাতে তাকে টেলিভিশনে দেখা যায়। ছোটবেলায় অধিকাংশ মানুষই চূড়ান্ত করতে পারেন না আসলে তিনি কী হবেন! অধরার পরিস্থিতিটাও তাই ছিল। তারপর বড় বোনের মতো অধরাও নাচের ক্লাসে যুক্ত হন। এরপর তার টিচারের উৎসাহে ফিল্মে নাম লেখান।
এক সাংবাদিক বন্ধুর মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালকের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় অধরার। পরিচয়ের সাত-আট মাস পর ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়। এটি ২০১৬ সালের ঘটনা। এই সিনেমা পরিচালনা করেন শাহীন সুমন। যদিও সিনেমাটি বেশ পরে মুক্তি পায়।
মুক্তির দিক থেকে অধরার প্রথম সিনেমা ‘নায়ক’। ২০১৮ সালে মুক্তি পায় এটি। এরপর মুক্তি পায় ‘মাতাল’, ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ সিনেমা দুটি। অধরা অভিনয় করেছেন অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘কোভিড নাইনটিন ইন বাংলাদেশ’, সৈকত নাসির পরিচালিত ‘বর্ডার’, অপূর্ব রানার ‘উন্মাদ’ ও ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ সিনেমায়। এর মধ্যে দুটি সিনেমার কাজ শেষ হয়েছে।
অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করলেও মূল সংগ্রামটা এখন করছেন অধরা। তার ভাষায়— ‘ফিল্ম ক্যারিয়ারের সংগ্রামটা এখন করছি। কারণ এখন ভালো গল্প, ভালো চিত্রনাট্য, ভালো একটি টিমের জন্য অপেক্ষা করছি। যার জন্য অনেক কাজ করছি, আবার অনেক কাজ ছেড়ে দিচ্ছি। আমার মনে হয়, কাজ শুরু করার আগে নয়, বরং পরে মানুষের সংগ্রামটা শুরু হয়।’
উঠতি নায়িকাদের নানা রকম সমস্যা ক্যারিয়ারে ফেস করতে হয়। অধরা কোন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন? এ বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, চিত্রনাট্য বাছাই করার সুযোগটা আমাদের কম। এখানেই সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কারণ একটি গল্প পছন্দ না হলেও বলতে পারছি না কাজটি করব না। এই সময়ে দর্শকের রুচির এতটাই পরিবর্তন হয়েছে যে, দেখে-শুনে কাজ হাতে নিতে হচ্ছে। আমার মনে হয়, কম কাজ করা ভালো। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়া ভালো। তারপরও এমন কাজ করা উচিত নয়, যার জন্য পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, দর্শদের প্রশংসা পাওয়া যায় না।’
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতার সিনেমাতেও অভিনয় করছেন অধরা খান। মালদ্বীপ ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে সিনেমাটির দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে। তবে আরো শুটিং বাকি আছে। আগামী এপ্রিলে সিনেমাটির শুটিং আবারো শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.