ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে সংলাপের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আমরা তো সংলাপ চাই না। আমরা বলেছি সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে।’
সোমবার (৬ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কারাবন্দি বিএনপি-যুবদলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, দুপুরে সচিবালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা যা করি প্রকাশ্যে করি, গণতন্ত্রে ব্যাকডোরে (গোপনে) আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই। দরকার হলে আমিই ফখরুল সাহেবকে ফোন করব, না হয় উনি দেবেন।’
সংলাপ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে গুঞ্জন রয়েছে সে বিষয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা সংলাপের কথা বলিনি। আমরা সরকারকে চলে যেতে বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবি পূরণ হলে দেশে নির্বাচন হবে। কেউ চোরাগোপ্তা নির্বাচন যেতে চাইলে তাদে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেওয়া হবে। বিএনপি নির্বাচনে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে ভয় পায়, জনগণকে ভয় পায়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জনগণের ভোটে তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।’
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মান করতে শিখুন। সম্মান করতে না পারলে অন্তত অসম্মান করবেন না। আমাদের দলের চেয়ারপারসন আপনাদের নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে কখনও অশোভন আচরণ করেননি। আমরা সম্মান করে কথা বলতে চাই। তবে অসম্মান করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করবেন না।’
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন পান। আওয়ামী লীগ কর্মীর মতো আচরণ করবেন না। পুলিশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ব্যানার নিয়ে যাচ্ছে। এটা পুলিশের কাজ নয়।’
তিনি বলেন, ‘কারাগারে নেওয়ার পর আমাদের ফাঁসির সেলে বাথরুমের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। বিকেলের খাবার রাত ৯টার দিকে দিয়েছে। যা দিয়েছে তা খাওয়ার উপযোগী ছিল না। কারাগারে আমাদের প্রাপ্য সুবিধা দেওয়া হয়নি। তবে আগামীতে আপনাদের সঙ্গে রাজনৈতিক আচরণ করবো। আপনাদের মতোন আচরণ করবো না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের পায়ের আওয়াজকে ভয় পায়। আমাদের কর্মসূচির দিন পাহারার নামে শান্তি বাহিনীর মতো আচরণ করে। পায়ে পা দিয়ে সংঘর্ষ বাধাতে চায়। কিন্তু আমরা তা চাই না। তাই ১০ ডিসেম্বর আমরা সংঘাত এড়িয়ে গেছি।’
যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.