ইমাম খাইর:
সীমিত আকারে হলেও কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল খোলা রাখা ও সমুদ্র সৈকত উম্মুক্ত করে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন হোটেল মোটেল জোনের ব্যবসায়ীরা।
জীবন ও জীবিকার তাগিদে বিষয়টি বিবেচনার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস অফিসার্স এসোসিশনের সভাপতি সুবীর চৌধুরী বাদল ও সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম।
তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২০ মার্চ থেকে কক্সবাজারে সকল প্রকার আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়। ১০০ দিন অতিবাহিত হলেও আমরা কোন প্রকার সরকারী ও বেসরকারি কোন ধরণের সাহায্য পাইনি। আমরা প্রচন্ড আর্থিক অসুবিধার মধ্যে। পরিবার পরিজন নিয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছি।
শুধু আমরা নই, কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত সকলের অবস্থা খুবই শোচনীয়। পরিবার পরিজন নিয়ে মারাত্মক কষ্টে রয়েছে। ইতোমধ্যে সীমিত আকারে পরিবহন, দোকান-মার্কেট, ব্যাংক কলকারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষের শরীরিক ও মানসিক শক্তি বিকাশে জন্য ভ্রমণের প্রয়োজন। সারা বাংলাদেশে হোটেল ও রেঁস্তোরা খুলে দিলেও কক্সবাজারে এখনো বন্ধ রয়েছে। আরো কিছুদিন বন্ধ রাখা হলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকায় দুরূহ হয়ে পড়বে।
এসব বিবেচনায় পর্যটন শহরের আবাসিক হোটেল ও সমুদ্র সৈকত উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
তাদের আবেদন, সীমিত আকারে কক্সবাজারে আবাসিক ও রেস্তোরাঁ খোলা রাখা অনুমোদন ও সরকারি নির্দেশনার নিয়ম মেনে সমুদ্র সৈকত উম্মুক্ত করে দেওয়া হোক।
সুত্র জানায়, গত ৫ জুন কক্সবাজার পৌর এলাকাকে 'রেডজোন'ভুক্ত করে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের স্বাক্ষরে জারিকৃত নির্দেশনার আলোকে ৩০ জুন পর্যন্ত দুই দফায় টানা ২৫ দিন লকডাউন পালিত হয়।
রবিবার ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে দুইদিন কাঁচাবাজার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর জন্য খোলা রাখা হলেও অন্যান্য সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
শহরে ৫ হাজারের অধিক দোকানপাটে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কর্মচারী রয়েছে। সাড়ে চার শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউসে রয়েছে ২০ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী। যাদের সবার জীবনে লকডাউনে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। বাসা ভাড়া, দোকান ভাড়া, বেতন-সম্মানী দিতে না পারে ইতোমধ্যে অনেক কর্মচারী ছাটাই হয়েছে।
এই অবস্থা চলতে থাকলে পর্যটন নগরীর অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শ্রমিক-কর্মচারী শূন্য হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.