মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
অতীতের জের ধরে লামায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গভীর রাতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডের অংশা ঝিরি এলাকার মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে আলী জহুরের বাড়িতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় এই ঘটনা ঘটে।
৮ জনের একটি সশস্ত্র সংঘবদ্ধ দল দেশী রিভলবার, গাদা বন্দুক, দা ও লম্বা ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের হামলায় আলী জহুরের ছোট ভাই মোঃ রফিক বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় ও তার তালত ভাই আবুল কালামকে (বাম হাত) কুপিয়ে আহত করে।
হামলা বিষয়ে আগে থেকে ধারনা করতে পারে আলী জহুর। তাই সে তার বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রাখে।
যেখানে সন্ত্রাসীদের হামলার দৃশ্য ভিডিও হয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে দাবী জানায় স্থানীয়রা।
ডাকাতি ও হামলার এই বিষয়ে কথা হয় অংশা ঝিরির বাসিন্দা আলী জহুরের সাথে। তিনি বলেন, গত ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় উত্তর মালুম্যা পাড়া থেকে আধা কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা চা বাগানের ভেতর ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক এলাকার বাসিন্দা মোঃ নুরুল আমিন পিতা- ছৈয়দ আহম্মদ, রহমত উল্লাহ ও মো. মহসিন মিলে ১টি ছাগল চুরি করে জবাই করতে আমি দেখে ফেলি। তখন তাদেরকে ধাওয়া করলে এক পর্যায়ে ২জন পালিয়ে গেলেও নুরুল আমিনকে টমটম থেকে হাতে নাতে ধরে ফেলি।
পরবর্তীতে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বিচার করেন। বিচারে নুরুল আমিনকে ছাগল চুরির অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ছাগলের প্রকৃত মালিক শামশুল আলম বুঝিয়ে দেয়া হয়। সেই দিন ছাগল চোর নুরুল আমিন এবং তার বড় ভাই আমাকে ‘দেখে নিবে’ বলে হুমকি দিয়ে যায়। আমি এবং আমার পরিবারের ধারনা সিএনজি বিক্রির নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আমার ঘরে রক্ষিত আছে এই সংবাদ পেয়ে এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নুরুল আমিনসহ অজ্ঞাতরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
রাত আনুমানিক ১টার সময় ডাকাত দল বাড়ীর আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং আমার স্ত্রী জেসমিন বেগমের গলার গহনা ও ছোট বোনের কানের দুল সহ প্রায় ২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। হামলায় আমার ছোট ভাই মো. রফিক বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় ও তার তালত ভাই আবুল কালামকে বাম হাতে দায়ের কুপ লাগে। আহতদের চকরিয়ায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি লামা থানাকে জানালে রাত ২টায় লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, ডাকাত দল সংখ্যায় ৮ জন ছিল, পরনে ছিল সাদা শার্ট ও কালো জিন্সের প্যান্ট, কয়েকজনের মুখে মুখোশ পরা ছিল, হামলাকারীরা চাটগাইয়া ভাষায় কথা বলছিল, অস্ত্র ছিল ২টি- একটি দেশীয় রিবলবার ও একটি একনলা গাদা বন্দুক, দা-ছুরি।
ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, ঘটনাটি খুবই ভয়ংকর হয়েছে। ছবি ভিডিওতে যা দেখলাম তাতে যথারীতি ভয় পাওয়ার মত। তবে হামলাকারীদের চিনতে পারি নাই। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এরপর বিষয়টি তদন্তে কয়েকদফা পুলিশ আলি জহুরের বাড়িতে আসে।
এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.