আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সেনাবাহিনী এবং জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বুধবার থেকে চলা ভয়াবহ লড়াই থেকে বাঁচতে মিয়ানমারের প্রায় ১০ হাজার নাগরিক পালিয়ে থাইল্যান্ড চলে গেছে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই বাসিন্দারা সামরিক সমর্থক মিলিশিয়া নিয়ন্ত্রিত এবং চীনা মালিকানাধীন ক্যাসিনোর শহর শ্বে কোক্কো থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।
দুই বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এবারই প্রথম একসঙ্গে এতো মানুষ মিয়ানমারের সীমান্ত পাড়ি দিলো। এ ব্যাপারে এখনও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) এবং এর সহযোগীরা বুধবার শ্বে কোক্কোর কাছে সামরিক ফাঁড়ি এবং একটি তল্লাশি চৌকিতে আক্রমণ শুরু করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৮০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে কেএনএলএ বিবিসি থাইকে জানিয়েছে।
সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সাহায্য কর্মীরা থাইল্যান্ডের মায়ে সোট এবং মায়ে রামাত অঞ্চলে জরুরি মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ শরণার্থীরা স্কুল, মঠ এবং রাবার খামারগুলিতে আশ্রয় চাইছেন।
মে সোটের একটি মঠের একজন বার্মিজ স্বেচ্ছাসেবক জানিয়েছেন, মঠে ৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ‘দীর্ঘমেয়াদে, আমাদের আরও দাতা প্রয়োজন’ বলেন ওই স্বেচ্ছাসেবক।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর সঙ্গে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির লড়াই তীব্র হয়েছে। স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবিতে, সীমান্তবর্তী রাজ্যের এই গোষ্ঠীগুলো এক দশকেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করে আসছে। সম্প্রতি এই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ক্ষমতাচ্যুত সু চির দলের নেতারা। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) নামের একটি বাহিনীও গঠন করেছে।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.