ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, সরকারের কথা শুনে মনে হচ্ছে, আক্রমণই আত্মরক্ষার ভালো কৌশল, অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার আগেভাগেই দোষারোপের রাজনীতি শুরু করেছে।
রোববার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত নিউ সুপার মার্কেট পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। নিউ সুপার মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
জিএম কাদের বলেন, সবার আগে নিজেদের ব্যর্থতা দেখা উচিত। পরপর অগ্নিকাণ্ড যদি নাশকতা হয়, তাহলে নাশকতা ঠেকাতে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। জান-মালের নিরাপত্তা ও নাশকতা ঠেকানো সম্পূর্ণ সরকারের দায়িত্ব। সরকারের কথা শুনে মনে হচ্ছে, মশকরা হচ্ছে। জনগণের কষ্ট যেন তারা বোঝেই না। সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সরকারের তা বুঝতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আগাম দোষারোপের ঘটনায় সাধারণ মানুষ মর্মাহত। দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব নিয়েই কথা বলতে হবে। প্রতিটি বক্তেব্যের পক্ষে তথ্য-উপাত্ত ও সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষ জানতে চায়।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এখন প্রতিদিনই সহানুভূতি জানাচ্ছি আর সরকারকে বলছি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে। এখন কারো নিরাপত্তা নেই, নিজ উদ্যোগে আমরা যতটা নিরাপদ থাকতে পারি। আল্লাহর দয়ায় যতটা নিরাপদ থাকা যায়। আমরা ট্যাক্সের টাকায় বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা লালন-পালন করছি। গরিব মানুষের অর্থে তারা বাড়ি-গাড়ি, এয়ারকন্ডিশন ও শান-শওকতে বসবাস করছে। কিন্তু, তাদের দায়িত্ব পালনে সফলতা দেখছি না। সরকার নিজেদের সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা কাজে লাগাচ্ছে। দেশ ও জাতির জান-মালের নিরাপত্তা নিয়ে কেউ ভাবছে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, জনপ্রতিনিধিরা এখন সকল ক্ষেত্রে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। জনগণও ঠিকমতো তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারছে না। এটাই বাস্তবতা। জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তাদের সবার দায় দায়িত্ব আছে। গণমানুষের স্বার্থ রক্ষায় তারা ব্যর্থ হচ্ছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। কেউ আইন-শৃঙ্খলা মানছেন না। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন দুর্ঘটনায় সরকার দায় এড়াতে পারে না।
এ সময় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক এ আদেল, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, যুগ্ম যুববিষয়ক সম্পাদক মো. দ্বীন ইসলাম শেখ উপস্থিত ছিলেন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.