খেলাধুলা ডেস্ক:
বাবার পর ছেলেও গায়ে জড়ালেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সি। এমন ঘটনা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রথম ঘটল। শচিন টেন্ডুলকার অনেক আগেই ব্যাট-প্যাড তুলে রেখেছেন, তবে তার আগে তিনি আইপিএলে নিয়মিত ছিলেন মুম্বাইয়ের হয়ে। গতকাল (রোববার) একই দলের হয়ে অভিষেক হয় তার ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকারের।
নিলাম থেকে অর্জুনকে ৩০ লক্ষ রুপিতে দলে নিয়েছিল মুম্বাই। অভিষেক ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ২ ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন অর্জুন। ভাইয়ের খেলা মাঠে বসেই দেখেন বোন সারা টেন্ডুলকার। আর বাবা শচীন তো ছিলেন ডাগআউটে। তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টরের ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করছেন।
অর্জুনকে অভিষেক ক্যাপ পরিয়ে দেন মুম্বাইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল খেলেছেন শচীন টেন্ডুলকার। একই পরিবারের একাধিক সদস্যের আইপিএলে খেলার ঘটনা বেশ কয়েকটি আছে। যেমন ইরফান পাঠান এবং ইউসুফ পাঠান খেলেছেন। এখন খেলছেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং ক্রুণাল পান্ডিয়া। এছাড়া মার্কো জানসেন এবং ডুয়ান জানসেনও আইপিএলে খেলেছেন। কিন্তু বাবা-ছেলের আইপিএল খেলার ঘটনা এটাই প্রথম। সেটাও আবার একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে।
এদিকে, ছেলেকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও সতর্ক শচীন টেন্ডুলকার। বাবার কর্তব্যের জায়গা থেকে পরামর্শও দিয়েছেন। এক বার্তায় বলেন, ‘অর্জুন, আজ তুমি ক্রিকেটার হিসেবে তোমার পথচলায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলে। তোমার বাবা, যে তোমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে, যে ক্রিকেট খেলাটারও অনুরাগী, আমি জানি, তুমি সামনের দিনগুলোতে খেলাটাকে তার প্রাপ্য সম্মান আর ভালোবাসা দেবে। ক্রিকেটও তোমাকে তার ভালোবাসা ফিরিয়ে দেবে। এই জায়গায় আসতে তুমি অনেক কষ্ট করেছ। আমি নিশ্চিত, তুমি আরও পরিশ্রম করে যাবে। এটা তোমার দারুণ এক পথচলার শুরু মাত্র। শুভ কামনা রইল!’
অর্জুন টেন্ডুলকারকে খেলতে দেখে উচ্ছ্বসিত বাবা শচীন টেন্ডুলকারের দীর্ঘদিনের সতীর্থ সৌরভ গাঙ্গুলী। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘অর্জুনকে মুম্বাইয়ের হয়ে খেলতে দেখে বেজায় খুশি। চ্যাম্পিয়ন বাবা নিশ্চিতভাবেই অনেক গর্বিত হবে। তার জন্য শুভকামনা।’
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.