বিনোদন ডেস্ক:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের সূর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সময় ‘অসংলগ্ন’ আচরণ করেন কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দর্শকরা তার দিকে পানির বোতল ও জুতা ছুড়েন। গত ২৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন নোবেল। নেটদুনিয়ায় চলছে জোর চর্চা। বিষয়টি নিয়ে নীরব ছিলেন নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। শনিবার (২৯ এপ্রিল) এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে সালসাবিল মাহমুদ বলেন— ‘সমস্যাটা যদি শারীরিক হতো হয়তো বা মানুষ কমেন্টে দোয়ার মাহফিল বসাতো। কিন্তু সমস্যাটা মানসিক তাও আবার মাদক ঘটিত। যেরকম মানুষ নোবেল কোনো দিনই প্রথম থেকে ছিল না। এটা আমার নিজেরই দীর্ঘদিনের দেখা। শোতে যাবার সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে নোবেলের নামাজ পড়া, সা রে গা মা পা চলাকালীন পুরো শুটিং ইউনিটকে বসিয়ে রেখে নামাজ পড়া আর সবার সাথে তার অমায়িক ব্যবহার। আর সেই মানুষটা এখন নিজের কার্যকলাপে নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না। নিজের নিরহংকার রূপকে ঢেকে পরিবার ও ভক্তবৃন্দদের কাছে নিজের অস্বাভাবিক রূপ প্রকাশের দীর্ঘ প্রচেষ্টা।’
সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রে নোবেল-সালসাবিলের পরিচয়। পরবর্তীতে তা রূপ নেয় প্রেমের সম্পর্কে। আড়াই মাস সম্পর্কে থাকার পর ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর বিয়ে করেন তারা। অনেক দিন ধরে নোবেল-সালসাবিলের দাম্পত্য জীবনে টানাপড়েন চলছে। বিয়েবিচ্ছেদের নোটিশও পাঠিয়েছিলেন সালসাবিল। শোনা যায়, এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। তবে খুব শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে যাবেন তারা।
এর আগে সালসাবিল মাহমুদ রাইজিংবিডিকে বলেছিলেন, ‘আমরা বিবাহিত কিন্তু একসঙ্গে থাকি না। মাদক সেবন, নারীঘটিত কারণেই মূলত নোবেলের সঙ্গে থাকি না। একের পর এক এরকম ঘটনা হলে একজন মানুষের সঙ্গে থাকা যায় না। মাদক বা নারীর প্রতি নোবেলের আসক্তি যে পর্যায়ে গেছে তা এখন আর কারো অজানা নয়। সবকিছু সবার সামনেই ঘটছে।’
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.