ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন-সংক্রান্ত কোনও কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করার জন্য জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাকে সতর্ক করেছে সরকার। রোহিঙ্গাদের মঙ্গল-সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ওই সংস্থা এবং ওই চুক্তিতে যা বলা আছে, সেটি মেনে চলার জন্য তাদের বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকালে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার বাংলাদেশ প্রধান জোহানেস ভ্যান ডার ক্লকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমন করা হয় এ বিষয়ে আলোচনার জন্য। প্রত্যাবাসনে রাজি হওয়া চারটি রোহিঙ্গা পরিবারকে খাবার দেওয়া বন্ধ করেছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা, এমন একটি খবর সোমবার প্রকাশিত হওয়ার পর সংস্থাটির প্রধানকে সমন করা হয় বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কারণ ছয় বছর ধরে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এখানে অবস্থান করছে। আমরা একটি ছোট দলকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় পাঠানোর চেষ্টা করছি। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোসহ এ কাজে জড়িত সবাই যেন এটিতে সহায়তা করে।
রোহিঙ্গাদের সম্মতির ভিত্তিতে তাদের প্রত্যাবাসন করা হবে কিন্তু যারা যেতে চায়, তাদের ভিন্ন উপদেশ কেউ প্রদান করুক বা প্রভাবিত করুক, এটি সরকার চায় না বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার বাংলাদেশ প্রধানকে আমরা ডেকেছিলাম তাকে মনে করিয়ে দিতে, তার ম্যান্ডেট কতটুকু এবং চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার জন্য।’
চুক্তি
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলের পর জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের দেখভাল করার জন্য একটি চুক্তি করে সরকার। চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় যেতে রাজি কি না, সেটি দেখার দায়িত্ব ওই সংস্থার। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই তাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার বিষয়টি সেখানে উল্লেখ নেই।
এ বিষয়ে আরেকটি সূত্র জানায় যে এ বিষয়ে একটি নেতিবাচক প্রচারণা আছে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের একজন র্যাপোর্টিয়ার রাখাইনে পরিস্থিতি প্রত্যাবাসন সহায়ক নয় বলে মন্তব্য করেছে। ওই র্যাপোর্টিয়ার এই তথ্য জাতিসংঘ থেকে পেয়েছে কি না, সে বিষয়ে আমরা জানতে চেয়েছি।
চার রোহিঙ্গা পরিবার
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে রাজি হয়েছে, এমন চারটি রোহিঙ্গা পরিবারকে সম্প্রতি ভাসানচর থেকে কক্সবাজারে স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু তাদের জন্য বরাদ্দ খাদ্য রেশন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা। এ বিষয়ে সোমবার গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আরেকটি সূত্র জানায়, চার পরিবারকে কোন অধিকারে রেশন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, সেটি শরণার্থী সংস্থার প্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, শরণার্থী সংস্থা তাদের ভুল স্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে, তারা কিছুটা বিভ্রান্ত ওই রোহিঙ্গারা কোথায় থাকবে। এর উত্তরে সংস্থাকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গারা কোথায় থাকবে, সেটি দেখার দায়িত্ব তাদের নয়। যেখানে রোহিঙ্গারা থাকবে, সেখানেই তাদের সেবা দিতে হবে।
গণমাধ্যমে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করা হলে জানানো হয়, বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন এবং তারা যেকোনও রিপোর্ট করতে পারে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.