ধর্ম ডেস্ক:
ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নির্মিত মসজিদ ‘মসজিদে কুবা’। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় আগমনের পর এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। যার ভিত্তি ছিল তাকওয়া বা আল্লাহভীতির ওপর। এখানকার লোকরা পবিত্রতার ব্যাপারে বেশ সচেতন ছিলেন।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ এই মসজিদ ও তার মুসল্লিদের প্রশংসা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে মসজিদ প্রথম দিন থেকে তাকওয়ার ওপর প্রতিষ্ঠিত, সেখানে অবস্থান করা আপনার জন্য অধিক সংগত। সেখানে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা পবিত্রতা পছন্দ করে। আর আল্লাহ পবিত্র ব্যক্তিদের ভালোবাসেন।’ সুরা তাওবা : ১০৮
কুবা মূলত একটি প্রাচীন কূপের নাম। কূপের নামানুসারে পরবর্তী সময়ে এলাকার নামকরণ হয়। নবী করিম (সা.) মদিনায় আগমনের পর কুবা নামক স্থানে অবতরণ করেন। তিনি হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.)-এর ঘরে অবস্থান করেন। তখন এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। মদিনার উত্তর প্রান্তে অবস্থিত এই মসজিদের নির্মাণকাজে স্বয়ং নবী করিম (সা.) অংশ নেন। মসজিদ নির্মাণে প্রথম পাথরটি তিনিই রাখেন। নির্মাণকাজ শেষ হলে তিনি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করেন এবং কুবাবাসীর প্রশংসা করেন। নবনির্মিত মসজিদে প্রথম নামাজ তিনিই আদায় করেন।
মসজিদে নববির পাশে স্থায়ী আবাস গড়লেও নবী করিম (সা.) প্রতি সপ্তাহের শনিবার মসজিদে কুবায় আসতেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে দিনার (রহ.) থেকে বর্ণিত, ইবনে ওমর (রা.) প্রতি শনিবার কুবায় আসতেন। তিনি বলতেন, আমি হজরত রাসুল্ল্লুাহ (সা.)-কে প্রতি শনিবার এখানে আসতে দেখেছি। সহিহ মুসলিম : ৩২৮৬
কুবা মসজিদে গিয়ে কমপক্ষে দুই রাকাত নামাজ পড়ার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) পদব্রজে অথবা বাহনে চড়ে কুবা মসজিদে আসতেন। অতঃপর তিনি সেখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। সহিহ মুসলিম : ৩২৮১
হজরত সাহল ইবনে হুনাইফ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘরে পবিত্রতা অর্জন করল, অতঃপর কুবা মসজিদে এসে নামাজ পড়ল, তার জন্য একটি ওমরাহর সমান সওয়াব রয়েছে। ইবনে মাজাহ : ১৪১২
এই মসজিদটি নির্মিত হওয়ার পর কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর উসমান বিন আফফান (রা.), ওমর বিন আবদুল আজিজ (রহ.), উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ ও তার ছেলে প্রথম আবদুল মাজিদ প্রমুখ শাসকরা মসজিদে কুবার সংস্কারকাজ করেন। বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ আলে সৌদের সময় সর্বশেষ সম্প্রসারণ করা হয়। ১৪০৫ হিজরিতে শুরু হওয়া সংস্কারকাজ শেষ হয় ১৪০৭ হিজরিতে। যাতে মসজিদের আয়তন দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৫০০ বর্গমিটার। মসজিদে কুবায় বর্তমানে ২০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে।
গত বছর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান মসজিদটি ১০ গুণ বড় করার ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, নতুন প্রকল্পের অধীন মদিনার এই মসজিদ ইতিহাসের সর্বোচ্চ সম্প্রসারণ করা হবে। এর আয়তন হবে ৫০ হাজার বর্গমিটার।
প্রকল্পের লক্ষ্য হলো, মসজিদটিতে ৬৬ হাজার মানুষ প্রার্থনা করতে পারে এমন আকারে উন্নীত করা। নতুন প্রকল্পে চার পাশে ছায়াযুক্ত উঠান থাকবে, যা বর্তমান মসজিদ ভবনের সঙ্গে সংযুক্ত নয় এমন প্রার্থনার স্থানগুলোর সঙ্গে যুক্ত হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভিড় দূর করা, মুসল্লিদের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং মসজিদে প্রবেশ সহজ করার জন্য আশপাশের রাস্তা সংস্কার করারও লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মসজিদের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে।
তবে নবীজি (সা.)-এর যুগে নির্মিত মসজিদের অংশে নামাজ পড়তে চাইলে মেহরাবের কাছাকাছি পড়াই ভালো।
মসজিদে খাইফ
যে স্থানে ৭০ জন নবী নামাজ পড়েছেন
মসজিদে খাইফ ইসলামের ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মসজিদ, যা সৌদি আরবের দক্ষিণ মিনার আল-দিবাআ পর্বতের পাদদেশ অবস্থিত। ঐতিহাসিক এই স্থানে নবী কারিম (সা.) ও হজরত মুসা (আ.)-সহ ৭০ জন নবী নামাজ আদায় করেছেন। এ জন্য একে নবীদের মসজিদও বলা হয়।
হজ পালনের সময় হাজিরা মিনায় অবস্থান করেন এবং এখানে দোয়া কবুল হয় বলে ধারণা করা হয়। ১৯৮৭ সালে ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে মসজিদে খাইফ সম্প্রসারণ করা হয়। এ সময় চারটি মিনার নির্মাণ করা হয়। হাজিদের সুবিধার্থে তখন তাতে ৪১০টি এসি, ১১শ বৈদ্যুতিক পাখা, এক হাজার টয়লেট ও তিন হাজার পানির কল স্থাপন করা হয়।
একাধিক হাদিসে মসজিদে খাইফের বর্ণনা এসেছে। যেমন- ১. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ৭০ জন নবী মসজিদে খাইফে নামাজ আদায় করেছেন। মাজমাউল জাওয়াইদ ২. হজরত ইয়াজিদ ইবনে আসওয়াদ (রা.) বলেন, তিনি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে হজ করেছেন এবং নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে মসজিদে খাইফে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন।
৩. হজরত আবদুর রহমান ইবনে মুয়াজ (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) মিনায় একটি ভাষণ দেন। তখন তিনি মুহাজিরদের মসজিদে খাইফের সামনে এবং আনসারদের মসজিদের পাশে তাঁবু স্থাপন করতে বলেন। সুনানে আবু দাউদ
মসজিদে কিবলাতাইন
কিবলা পরিবর্তনের স্মৃতিবিজড়িত মসজিদ
মসজিদে কিবলাতাইন- ইসলামের ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। মদিনার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত মসজিদে কিবলাতাইন ইসলামি যুগের তৃতীয় মসজিদ।
হজরত আদম (আ.) থেকে হজরত ঈসা (আ.) পর্যন্ত লক্ষাধিক নবী-রাসুলের একটি মাত্র কিবলা ছিল, তা হলো বায়তুল মাকদিস। কিন্তু নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তার উম্মতের একাংশের ভাগ্যে বায়তুল মাকদিস ও পৃথিবীর প্রথম ঘর পবিত্র কাবা, এই উভয় কিবলার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের বিরল সৌভাগ্য অর্জিত হয়েছে।
মসজিদটি বনু সালামা অঞ্চলে হওয়ার সুবাদে এর প্রথম নাম ছিল মসজিদে বনু সালামা। নবী কারিম (সা.) মদিনায় হিজরতের পর প্রায় ১৬ মাস বায়তুল মাকদিসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন। এরপর বায়তুল মাকদিসের পরিবর্তে মহান আল্লাহ পবিত্র কাবাকে মুসলমানদের জন্য চিরস্থায়ী কিবলা হিসেবে নির্ধারণ করেন, যা আজও বিশ্বের মুসলমানের কিবলা হিসেবে পরিগণিত।
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর উত্তরসূরি হওয়ার সুবাদে মিল্লাতে ইবরাহিমের প্রতিষ্ঠা ও পুনর্গঠনের জন্য কাবার দিকে মুখ করার প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। আর মুসলমানদের কিবলা বায়তুল মাকদিস হওয়ার কারণে কপট ইহুদিরাও এই বলে অপপ্রচার করে বেড়াত যে আমাদের ও মুসলমানদের কিবলা যেহেতু এক এবং অভিন্ন, অতএব ধর্মের ক্ষেত্রেও মুসলমানদের উচিত আমাদেরই অনুসরণ করা।
এসব কারণে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হৃদয়ের সুপ্ত বাসনা ছিল, কাবা যদি মুসলমানদের কিবলা হতো! এ বাসনা তীব্রতর হলে তিনি ব্যাকুল নয়নে আকাশের দিকে বারবার তাকাতেন, অহির মাধ্যমে এর অনুমোদনের প্রত্যাশায়। হিজরি দ্বিতীয় সনের শাবান মাসে মতান্তরে রজব মাসের মাঝামাঝি সময়ে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছু সংখ্যক সাহাবায়ে কেরামসহ হজরত বিশর ইবনে বারা (রা.)-এর নিমন্ত্রণে যোগ দিতে মদিনার অদূরে বনু সালামায় পৌঁছে জোহরের নামাজ, মতান্তরে আসরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে তাশরিফ নিলেন। বলা বাহুল্য, নামাজে ইমাম ছিলেন রাসুল (সা.) আর মুক্তাদি ছিলেন সাহাবায়ে কেরাম (রা.)। দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাকাতের মাঝামাঝি সময়ে আল্লাহর প্রিয় হাবীব (সা.)-এর আন্তরিক ইচ্ছার বাস্তবায়নে হজরত জিবরাইল (আ.) আল্লাহর শাশ্বত বাণী নিয়ে অবতীর্ণ হলেন। হে মুহাম্মদ! আপনি নিজের মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফেরান এবং (মুসলমানরা) তোমরা যেখানেই থাকো, সে দিকেই নিজেদের মুখ ফেরাবে।
আল্লাহর নির্দেশে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.) চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের দুই রাকাত কাবা শরিফের দিকে ফিরে আদায় করেছিলেন, বিধায় এ মসজিদ ইসলামের ইতিহাসে মসজিদে কিবলাতাইন বা দুই কিবলাবিশিষ্ট মসজিদ নামে সুপরিচিত ও সমাদৃত।
দ্বিতীয় হিজরি মোতাবেক ৬২৩ খ্রিস্টাব্দে মদিনা মোনওয়ারার বনি সালামা অঞ্চলের খালিদ বিন ওয়ালিদ সড়কসংলগ্ন এ মসজিদ সর্বপ্রথম হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.) নির্মাণ করেন। খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) ১০০ হিজরিতে মসজিদে কিবলাতাইন পুনর্নির্মাণ করেন। এর দীর্ঘকাল পর মসজিদে নববির প্রখ্যাত খাদেম শুজায়ি শাহিন আল জামালি ৮৯৩ হিজরিতে ছাদসহ মসজিদে কিবলাতাইন পুনর্নির্মাণ করেন। এই নির্মাণের ৫৭ বছর পর তুরস্কের উসমানীয় খলিফা সুলাইমান আল কানুনি ৯৫০ হিজরিতে আগের তুলনায় বৃহৎ আয়তনে মসজিদে কিবলাতাইন পুনর্নির্মাণ করেন।
এ মসজিদ একটি অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, যা অন্য কোনো মসজিদে নেই। তা হলো, হজরত রাসুল (সা.)-এর যুগ থেকে দীর্ঘকাল পর্যন্ত এই মসজিদে দুটি মেহরাব তথা ইমামের দাঁড়ানোর স্থান ছিল। যার একটি বায়তুল মাকদাসমুখী। অন্যটি ছিল কাবাঘরমুখী। পরে সংস্কারের সময় অবশ্যই বায়তুল মাকদাসমুখী মিম্বরটি গুঁড়িয়ে দিয়ে কাবাঘরমুখী মেহরাবটি অবশিষ্ট রাখা হয়।
ঐতিহ্যবাহী আরবীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এ ঐতিহাসিক মসজিদের মুসল্লি ধারণক্ষমতা দুই হাজার। মসজিদটির আয়তন তিন হাজার ৯২০ স্কয়ারমিটার। গম্বুজসংখ্যা দুটি, ব্যাস আট মিটার ও সাত মিটার। উচ্চতা ১৭ মিটার। মিনার সংখ্যা দুটি। ইসলামের স্বর্ণালি ইতিহাসে মসজিদে কিবলাতাইনের আবেদন চিরভাস্বর।
মসজিদে জিন
জিনদের সঙ্গে যেখানে নবীজির সাক্ষাৎ হয়েছিল
মক্কার মসজিদে হারাম থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মসজিদে জিনের অবস্থান। এখানে নবী কারিম (সা.)-এর সঙ্গে জিনদের একটি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল এবং তারা নবী কারিম (সা.)-এর প্রতি ইমান এনেছিল। মক্কার প্রাচীনতম কবরস্থান জান্নাতুল মুয়াল্লার ঠিক পাশেই এর অবস্থান। এটিকে মসজিদুল হারাসও বলা হয়।
কেননা ‘হারাস’ অর্থ পাহারা দেওয়া। আর এই স্থান থেকে বহিরাগতদের গমনাগমন পাহারা দিত মক্কার অধিবাসীরা। মসজিদে জিন মক্কার প্রাচীন মসজিদগুলোর একটি এবং প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক মুসল্লি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর স্মৃতিবিজড়িত এই মসজিদ পরিদর্শনে আসে। প্রকৃতপক্ষে ১৭শ খ্রিস্টাব্দে এখানে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড মসজিদ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্তমান সৌদি রাজপরিবার এই মসজিদের আধুনিকায়ন করেছে এবং তাতে মিনার যুক্ত করেছে। এখন মসজিদটিতে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
ঐতিহাসিকরা লেখেন তায়েফ থেকে ফেরার সময় নবী কারিম (সা.) নাখলা নামক স্থানে কয়েক দিন অবস্থান করেন। সেখানে আল্লাহতায়ালা জিনদের দুটি দলকে তার কাছে পাঠান। সুরা কাহাফের ২৯-৩১ আয়াতে এবং সুরা জিনের প্রথম ১৫ আয়াতে তাদের কথা বলা হয়েছে। মানুষের ইসলামবিমুখতার বিপরীতে জিনদের ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে আল্লাহ তার প্রিয় নবীকে সান্ত্বনা প্রদান করেন।
মসজিদে গামামা
নবী করিম (সা.) যেখানে বৃষ্টির নামাজ পড়েছিলেন
আল-গামামা মসজিদ। মসজিদে নববি থেকে ৫০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি মদিনায় নবী করিম (সা.)-এর স্মৃতিবিজড়িত একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখানে নবী করিম (সা.) তার জীবনের শেষ ঈদের নামাজ ও বৃষ্টির নামাজ (সালাতুল ইস্তিসকা) আদায় করেন।
উমাইয়া খলিফা ওমর ইবনুল আবদুল আজিজ (রহ.)-এর শাসনামলে (৯৯-১০১ হি.) আল-গামামা মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এরপর একাধিকবার আল-গামামা মসজিদের সংস্কার হয়েছে। সুলতান হাসসান বিন মুহাম্মদ বিন কালাউন আল-সালিথি ৭৬১ হিজরির আগে তা একবার সংস্কার করেন। সুলতান ইনাল ৮৬১ হিজরিতে পুনরায় সংস্কারকাজ করেন।
বাদশাহ সালমান ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তিনি আল-গামামা মসজিদের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেন। মসজিদের সম্প্রসারণসহ একাধিক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সূচনা হয় এই সময়ে। মসজিদের বহিরাংশ কালো বেসাল্ট দ্বারা আচ্ছাদিত। গম্বুজ ও ভেতরের অংশে করা হয়েছে সাদা রং। মসজিদের খিলানের কালো রং দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মসজিদের প্রবেশপথে স্থাপন করা হয়েছে সবুজ প্যানেল, যার ওপর স্থাপন করা হয়েছে মসজিদের নামলিপি। মসজিদের ভেতর ও বাইরে স্থাপিত পাথরের গাঢ় সবুজ রং এবং দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ তাকে আধুনিক স্থাপত্যশিল্পের অনন্য দৃষ্টান্তে পরিণত করেছে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.