আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত মাসে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় আলোচনা করতে প্রথমবার কোনও মার্কিন কর্মকর্তা দেশটিতে সফরে গেছেন। সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা শেষে ভারপ্রাপ্ত মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেছেন, ‘জান্তার সঙ্গে অত্যন্ত খোলামেলা ও কঠিন আলোচনা ছিল।’
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, অভ্যুত্থানটি শেষ করতে এখনও কটূনৈতিকভাবে আলোচনার পথ খোলা আছে।
পশ্চিম আফ্রিকার ১৫টি দেশ নিয়ে গঠিত সংস্থা ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়াস্টার্ন আফ্রিকান স্টেটস (ইকোয়াস)। সদ্য গঠিত সেনা শাসককে জানিয়েছিল, রবিবারের (৬ আগস্ট) মধ্যে শাসনক্ষমতা গণতান্ত্রিক সরকারকে অবশ্যই বুঝিয়ে দিতে হবে। কিন্তু তাতে কান দেয়নি জান্তা।
সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি মোকাবিলায় গত সোমবার নাইজারের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে অভ্যুত্থানকারীরা। এই পরিস্থিতিতে রাজধানী নিয়ামিতে নুল্যান্ড সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুই ঘণ্টারও বেশি সময় আলোচনার হয়েছে নাইজারের সামরিক বাহিনীর শীর্ষপর্যায়ের কর্তাদের সঙ্গে। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী ফিরে আসতে তাদের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াশিংটন।
তিনি জানান, নতুন সামরিক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুসা সালাও বারমুর সঙ্গে দেখা হয়েছে। কিন্তু নাইজারের স্বঘোষিত নেতা জেনারেল আবদুরাহামানে তচিয়ানির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি। ক্ষমতাচ্যুত বন্দি প্রেসিডেন্ট বাজুমের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি জান্তা।
তবে বন্দি হওয়ার পর মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে আলাপ হয়েছে বাজুমের। রাশিয়ার ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের সহায়তা চাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই মার্কিন কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, তারা জানে না এই ধরনের সিদ্ধান্ত সার্বভৌমত্বের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ।
এদিকে প্রতিবেশী নাইজারে সংকট নিয়ে করণীয় নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোয়াস।
সূত্র: বিবিসি
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.