খেলাধুলা ডেস্ক:
তামিম ইকবাল নেই। তার জায়গায় বিশ্বকাপে যাচ্ছেন আরেক তামিম। যার পুরো নাম- তানজিদ হাসান তামিম।
শুধু নামে নয়, অরো অনেক কিছুতে মিল তাদের। দুজই ওপেনার, ব্যাট করেন বাঁহাতে। বিষয়ভিত্তিক পর্যায় থেকে দুজনই মারকুটে ব্যাটার হিসেবে নিজেদের মেলে ধরেছেন। তাই তো আরও কয়েক বছর আগে থেকেই আলোচনা- তামিম ইকবালের অভাব মেটাবেন তানজিম তামিম।
সত্যিই তানজিম তামিম ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তামিম ইকবালের বিকল্প হিসেবে!
যদিও তামিম ইকবালের স্কোয়াডে না থাকাটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। আর এ কারণেই তার জায়গায় ৫ ওয়ানডেতে মাত্র ৩৪ রান করেই বিশ্বকাপের ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়া তানজিদ তামিমের পক্ষে থাকতে চাচ্ছেন না অনেকেই। তবে মাত্র দুজন বিশেষজ্ঞ ওপেনারের একজন হয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তানজিদ তামিম। তাই বিশ্বকাপে যে তিনি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন, এটা অনেকটা নিশ্চিতই বলা যায়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তানজিদ তামিমের শুরুটা ভালো হয়নি ঠিক। তবে তার ওপর আস্থা রাখার মতো অনেক উদাহরণও কিন্তু আছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ওই আসর থেকেই আসলে দৃশ্যপটে তিনি।
যদিও ২০১৯ সালে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ১৮ ম্যাচে যেখানে ৩ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটিকে করেছেন ১৩৫০ রান। আর ৫১ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে রান করেছেন ১৩০৫, ৩ সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি ৭টি।
তানজিম যুব বিশ্বকাপ থেকেই বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ ছিলেন। সবশেষ এশিয়া কাপে তার জন্য জাতীয় দলের দুয়ার খুলে। তবে ভালো মানের বোলারদের বিপক্ষে মোটেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এই ব্যাটার। এরপরও তার ওপর কেন আস্থা রাখা হলো, এনিয়ে গতকাল দল ঘোষণার পর ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘অনেকগুলো ওপেনারকে আমরা দেখেছি। তানজিদ তামিম আমাদের হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে অনেক দিন ছিল। ইমার্জিং কাপে যথেষ্ট ভালো খেলেছিল। সেই সুবাদে সুযোগ পেয়েছে কয়েকটি। আমরা আশাবাদী, সামনে যদি আরও কিছু ম্যাচে টাই করি, ইনশা আল্লাহ স্টাবলিস্ট হতে পারবে। ওর পারফরম্যান্সে আমরা আশা করছি, বিশ্বকাপে সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে পারে।’
বিশ্ব মঞ্চে তানজিমকে এখন এই আস্থার প্রতিদান দিতে হবে। যা বেশ চ্যালেঞ্জিংই। তবে এ জন্য তামিম ইকবালকেই আদর্শ মানতে পারেন তানজিম। তামিমও যে নিজের আগমনী বার্তা জানান দিয়েছিলেন বিশ্বকাপের মঞ্চেই, ২০০৭ সালের আসরে।
ক্যারিবিয়ান দ্বিপে অনুষ্ঠিত সেই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ভারতকে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জহির খান, মুনাফ প্যাটেলকে কি দুঃস্বপ্নই না উপহার দিয়েছিলেন তামিম। সেই ম্যাচ থেকেই তো তার নায়ক মনে যাওয়া।
সেই ম্যাচের আগে মাত্র ৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা ছিল তামিমের। ইনিংসগুলো ছিল এমন- ৫, ৩০, ১১ ও ১১। সেই তামিম ঠিকই বিশ্ব মঞ্চে আলো ছড়িয়েছিলেন। যুব বিশ্বকাপজয়ী তানজিদ তামিমও নিশ্চয়ই পারবেন।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.