খেলাধুলা ডেস্ক:
ক্রিকেট ব্যাটসম্যানদের খেলা। এমন একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়। দর্শকরা আসবেন রানের ফুলঝুড়ি দেখতে। এমনটাই স্বাভাবিক। তবে ভারতের মাটিতে এবারের বিশ্বকাপ সম্ভবত রানের বেলায় নতুন কিছুই করে দেখাবে। অন্তত শুক্রবারের দুই প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে সেই আভাসই মিলেছে। দুই ম্যাচে খেলা হয়েছে চার ইনিংস। আর তাতে রীতিমত রানের উৎসব দেখেছে দর্শকরা।
একইসঙ্গে শুরু হলেও দিনের প্রথম ম্যাচ ধরা হয়েছিল বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচকে। শুরু থেকেই যেখানে ছিল রানের বন্যা। মাঝের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদি কিংবা তাসকিন আহমেদরা চেপে না ধরলে শ্রীলঙ্কা যে বহুদূর যেতে পারতো, সেটা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কানরা গতকাল ব্যাট চালিয়েছে সাড়ে ৫ এর কাছাকাছি রানরেটে।
দুই দলের সবশেষ সাক্ষাৎ এশিয়া কাপে। সুপার ফোরের ম্যাচে লঙ্কানরা করেছিল ৯ উইকেটে ২৫৭। যেখানে তাদের রানরেট ছিল ৫ দশমিক ১৪। এর আগে গ্রুপপর্বের ম্যাচে ওভারপ্রতি সাড়ে চারের নিচে রান এসেছিল। সমশক্তির বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে লঙ্কানদের ব্যাটিংগতি বুঝিয়ে দিয়েছিল। পিচ থেকেই ব্যাট করার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ পেয়েছেন ব্যাটাররা।
আর বাংলাদেশ তো ব্যাট হাতে রীতিমত আলো ছড়িয়েছে। রান উঠেছে ওভারপ্রতি ৬ দশমিক ২৮ করে। এক তৌহিদ হৃদয় ছাড়া রান পেয়েছেন দলের আর সব ব্যাটার। তিনজনের কাছ থেকে এসেছে ফিফটি।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ অবশ্য দিনের বাকি ম্যাচের কাছে ম্লান হয়ে যাবে। পাকিস্তান আর নিউজিল্যান্ডের ম্যাচে খেলা হয়েছে ৯৩ ওভার। তাতে রান উঠেছে ৬৯১! যার অর্থ ম্যাচে দুই দল মিলে ওভারপ্রতি ৭ দশমিক ৪৩ করে রান তুলেছেন।
পাকিস্তান করেছে ৩৪৫ রান। অধিনায়ক বাবর আজম ৮৪ বলে ৮০ রান করে বিদায় নিলেও মোহাম্মদ রিজওয়ান তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৯৪ বলে ১০৩ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হিসেবে মাঠ ছাড়েন। সাউদ শাকিল ৫৩ বলে ৭৫ ও আঘা সালমান ২৩ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন।
আর কিউইরা ব্যাট করেছে প্রায় ৮ রানরেটে। ৪৪তম ওভারেই ৩৪৬ রান করেছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। এমন রানপ্রসবা উইকেট বিশ্বকাপের মূল আয়োজনে থাকলে তা বিশ্বকাপে বাড়তি উন্মাদনা দিবে তা অনেকটাই নিশ্চিত।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.