আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় রোববার দ্বিতীয় ধাপে যে ১৪ ট্রাক ত্রাণ সরবরাহ করা হয়েছে, তা অবরুদ্ধ গাজাবাসীর দৈনিক চাহিদার তুলনায় মাত্র ৩ শতাংশ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
রাফাহ ক্রসিং সীমিতভাবে চালুর পর, শনিবার ও রোববার মিলিয়ে মোট ৩৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক এখন পর্যন্ত গাজায় পৌঁছেছে। জাতিসংঘের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গাজায় এ পর্যন্ত প্রবেশ করা ত্রাণের দুটি চালানের কোনোটিতেই জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। গাজার সবচেয়ে বড় মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে জানিয়েছে, তাদের জ্বালানি মজুদ আগামী তিন দিনের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে।
রোববার ত্রাণবাহী যে ১৪ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, সেগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ছিল। এর আগে শনিবার একই সীমান্ত দিয়ে গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক পৌঁছায়। ওই ট্রাকে খাদ্য, পানি ও ওষুধ ছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণের সরবরাহ চলমান রাখতে সম্মত হয়েছেন।
জাতিসংঘ অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ পাঠানোর পরিমাণকে ‘সাগরে এক বিন্দু জল ফেলার’সঙ্গে তুলনা করেছে। জাতিসংঘ বলছে, প্রতিদিন কয়েকটি ট্রাককে ঢুকতে দেয়াটা মোটেও পর্যাপ্ত নয়। সাহায্য সংস্থাগুলোকে গাজায় ‘অবাধ প্রবেশাধিকার’দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতামার বেন-গিভির বলেছেন, হামাস যদি তাদের হাতে আটক সব জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি না হয়, তাহলে ওই এলাকায় ‘ত্রাণ সরবরাহ চলমান’ রাখার কোনও গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না।
আল জাজিরা জানিয়েছে, হামাসের রকেট হামলার জবাবে গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অবিরাম বোমা হামলার পাশাপাশি হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটিতে খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এতে ২৪ লাখ মানুষের অঞ্চলটিতে চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েলি বোমা হামলায় ইতিমধ্যে গাজার ১০ লাখ মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছেন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.