বিনোদন ডেস্ক:
সোনালী যুগের নায়িকা সুচন্দা। দীর্ঘদিন রুপালি পর্দায় তার উপস্থিতি নেই। এমনকি কোনো চলচ্চিত্র বিষয়ক অনুষ্ঠানেও দেখা মেলে না। বেশ কিছুদিন আগে তার হার্টের সার্জারি হয়েছে। ডাক্তার খুব সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি চলচ্চিত্র বিষয়ক একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি অতিথি হয়ে এসেছিলেন। এই সময় তিনি মানবজমিনের সঙ্গে তার অভিনয় ক্যারিয়ারসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। আজকাল আপনাকে খুব একটা জনসম্মুখে দেখা যায় না কেন? সুচন্দা বলেন, বয়স হয়েছে। শারীরিক ব্যাধিও রয়েছে। আর এখন ভালোও লাগে না।
চলচ্চিত্রের এ সময়ের অবস্থাও তো ভালো না। সুচন্দা অভিমানের সুরে বলেন, শিল্পীরা ইমোশনাল ও অভিমানী হয়। কিন্তু এখন কিছু শিল্পী পোশাক-আশাক, চলাফেরা ও তাদের ব্যক্তিগত বিষয় যেভাবে গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, তা শুধু তাদেরকেই নয় পুরো চলচ্চিত্র পরিবারকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। অভিনয়ের প্রতি অমনোযোগী হয়ে ব্যক্তিগত বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া খুবই বোকামি। সবচেয়ে বড় কথা শিল্পীদের লোভী হলে চলবে না, ধৈর্য ধরতে হবে। আপনার অভিনয় আপনার অর্থ উপার্জনের পথকে সুগম করবে। এখন তো অফুরন্ত সময়। কীভাবে কাটে? সুচন্দা বলেন, অভিনয়ের ব্যস্ততা নেই তা ঠিক। কিন্তু পরিবার-পরিজন, ইবাদত-বন্দেগি করে সময় চলে যায়।
প্রকৃতির প্রতি, গাছপালার প্রতি আমার সব সময় দুর্বলতা রয়েছে। আমি গাছ লাগাতে, পরিচর্যা করতে ভীষণ পছন্দ করি। আমার বাড়ির ছাদে বারান্দায় প্রচুর ফুল ও সবজি চাষ করি। আর অনেক আগেই দাদি- নানি হয়েছি। আমার ফুলের মতো নাতি-নাতনিদের নিয়ে খুব ভালো সময় কাটে। আপনার জনপ্রিয়তা আপনার নাতি-নাতনিরা কীভাবে বুঝতে পারে? সুচন্দা উত্তরে বলেন, আমি যখন কোনো এয়ারপোর্টে যাই, কোনো কাজে সরকারি দপ্তরে যাই- সবাই আমাকে অনেক সম্মান দেখান যা আমার অভিনয় জীবনকে সম্মানিত করেছে। এত যুগ পরও এমনও ভক্তের মুখোমুখি হই তারা আমার সেই সাদাকালো যুগের সিনেমার কথা স্মরণ করেন। এমনকি ওই সিনেমাগুলোর সংলাপ মুখস্থ বলে দেন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.