তথ্য ওপ্রযুক্তি ডেস্ক:
রাশমিকা থেকে ক্যাটরিনা কাইফ! জনপ্রিয় নায়িকাদের ছবি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে অশ্লীল ভিডিও! ইন্টারনেট দুনিয়ায় এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে কয়েক মিনিটেই। ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে এসব ভিডিও। এই ডিপফেক ভিডিও কী?
ডিপফেক হল একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে একজনের ভিডিওতে আরেকজন মুখ বা শরীরের যে কোনও অংশ যুক্ত করে সহজেই বদলে দেওয়া যায়। সেই ছবি বা ভিডিও দেখে বোঝার উপায় নেই যে এই ছবি বা ভিডিও আসল নাকি নকল। অনেক সময় কণ্ঠস্বরও পরিবর্তন করা যায়।
ডিপফেক ভিডিও এমন একটি ভিডিও যা স্বাভাবিক ভাবে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নকল ভিডিও। কিন্তু এটি আসলে একটি মিথ্যা বা ফেক ভিডিও। কারণ এখানে শরীরের বিভিন্ন অংশের নড়াচড়া থেকে শুরু করে সকল অঙ্গ ভঙ্গি নকল করা হয়। যা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্টেরই একটি অংশ। যেখানে একটি ভিডিও নকল হলেও সেটি দেখতে এবং শুনতে আসল মনে হয়।
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া রেডইট এর হাত ধরে ২০১৭ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আসে এই ডিপফেক প্রযুক্তি। যেখানে একবারে বদলে ফেলা হয়েছিল গাল গোডো, টেলর শিফট, স্কারলেট জহনসানের চেহারা। এরপর থেকেই বিশ্বে সারা ফেলে এই ডিফফেক প্রযুক্তি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যারা ফেক ভিডিও তৈরি করেন তাদের প্রধান টার্গেট থাকেন সেলিব্রেটিরা। এরপর তাদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করেন। যা বিশ্লেষণ করতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সেই প্রযুক্তির সাহায্যে মুখের বৈশিষ্ট, অভিব্যক্তি, ভয়েস প্যাটার্ন এবং অন্যান্য ‘ইউনিক’ বৈশিষ্ট শনাক্ত করে এবং ম্যাপ তৈরি হয়। এভাবেই তৈরি হয় ফেক বা বিকৃত ভিডিও বা ছবি।
ডিপফেক ভিডিওগুলো দেখার সময় এটি কোন অ্যাকাউন্ট বা মাধ্যম থেকে আপনার সামনে এসেছে তা সবার আগে খেয়াল করতে হবে। সাধারণত অপরিচিত বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে এ ধরনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। কোনো ভিডিও সম্পর্কে সন্দেহ হলেই সেটির উৎস সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই করুন।
এছাড়াও ডিপফেক ভিডিও যাচাই করার জন্য অনলাইনে অনেক টুল রয়েছে। এসব টুল ব্যবহার করেও এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও চিহ্নিত করা যায়।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.