আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের পর গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চলে ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)। এই পরিকল্পনায় উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসও রয়েছে।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ।
ব্লুমবার্গকে মোহাম্মদ শাতায়েহ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার মূল বক্তব্য হলো—যুদ্ধের পর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) জুনিয়র অংশীদার করার প্রস্তাব দেওয়া হবে এবং গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের সমন্বয়ে গঠিত হবে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র।
‘যদি তারা (হামাস) এই প্রস্তাব গ্রহণ করে চুক্তিতে আসতে রাজি থাকে, কেবল তাহলেই তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। আমাদের (পিএলও) অবস্থান থেকে আমরা বলতে পারি, ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিভাজন থাকা উচিত নয়।’
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীগুলো ১৯৬৪ সালে পিএলও বা পিএ জোট গঠন করে। শুরুর দিকে ইসরায়েলের বিলুপ্তি ও স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে গেলেও পরে ১৯৮৩ সালে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় পিএলও।
এই স্বীকৃতি দানের কয়েক বছর পর ১৯৮৩ সালে গঠিত হয় সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। এই গোষ্ঠী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিলুপ্তি ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে।
২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে গাজা উপত্যকা দখল করে হামাস। তারপর থেকে এখনও ক্ষমতাসীন রয়েছে এই গোষ্ঠীটি। হামাসের শীর্ষ নেতাদের অধিকাংশই থাকেন কাতারে, আর মধ্যম সারির নেতারা বৈরুতে অবস্থান করছেন।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন প্রায় ১৮ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার।
অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.